জম্মু-কাশ্মীরের কিশ্তওয়াড়ে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে হড়পা বান, উদ্ধারকাজ জোরকদমে!!
অনুপ্রবেশ ও পুশ ইন নিয়ে উদ্বিগ্ন দিল্লী-ঢাকা বৈঠকে বসছে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভারত-বাংলা আন্তর্জাতিক সীমান্ত রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ জনিত কারণে সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরদারির মধ্যেও ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা এদেশে ঢুকে পড়ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে এরা ভারতে ঢুকলেও কেউই ত্রিপুরায় থাকছে না। বড়জোর ১-২ দিন। তারপর রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চলে যাচ্ছে। নানা কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ দেশের নিরাপত্তার পক্ষে যথেষ্ট উদ্বেগজনক। আগামী ২৫ থেকে ২৮ আগষ্ট ঢাকাতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে শীর্ষ পর্যায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান এবং বিজিবি প্রধান। অনুপ্রবেশ, চোরাচালান বৈঠকের আলোচ্য বিষয়। বর্তমান বিভিন্ন কারণে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বিএসএফ এবং বিজিবির শীর্ষ পর্যায়ে বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকায় অনুষ্ঠেয় আগামী ২৫-২৮ আগষ্টের এই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বিষয়টি বিএসএফের পক্ষ থেকে উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রীতিমতো উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এক ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে।একটা অংশ অতিষ্ঠ, অনিশ্চিত, অসহনীয় কষ্টের অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে। রোহিঙ্গাদের ভারতে অনুপ্রবেশ নানা সমস্যা সৃষ্টি করছে। একাংশ রোহিঙ্গা নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছে। মোটা টাকার লোভে এরা বিকল্প পথ খুঁজছে। এটা সবাই জানে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ড্রাগ পাচারের উর্বর এলাকা। মায়ানমার, কোরিয়া, থাইল্যান্ড সহ দক্ষিণ পূর্বএশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বেআইনি মাদক পার্বত্য চট্টগ্রামে আসে। আন্তর্জাতিক ড্রাগ ব্যবসায়ীরা এখানে সক্রিয়। ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্ত অঞ্চল একাধিক ড্রাগ পাচারের গোল্ডেন রুট রয়েছে।
এই রুট ধরে বেআইনি মাদক ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বিশেষ করে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। আর এই কাজে রোহিঙ্গাদের কাজে লাগানো হচ্ছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ভারত সরকার বাংলাদেশের সহযোগিতা চাইছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভিমত বিজিবি সীমান্ত এলাকা সতর্ক থাকলে অনুপ্রবেশ বহুলাংশ কমে যাবে। আগামী ২৫ আগষ্ট থেকে ঢাকাতে শুরু হওয়া ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী ও বিজিবি এর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ রুখতে বিজিবি যাতে তাদের সীমান্ত এলাকায় সব সময় তৎপর থাকে সেই ব্যাপারে আলোকপাত করা হবে বৈঠকে।ভারত যেমন অনুপ্রবেশজনিত সমস্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন,ঠিক তেমনি পুশ-ইন এবং সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। ভারতের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ যেভাবে পুশ-ইন করছে তা ঢাকা বিভিন্নভাবে প্রতিবাদ করছে। ভারতের বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঢাকার বক্তব্য পুশ-ইন একটি পদ্ধতি মেনে করা উচিত। সঠিক বাংলাদেশের নাগরিক হলে কূটনৈতিক পথে পাঠালে তাদের দিক দিয়ে কোন অসুবিধা নেই। পদ্ধতিগত পথে চলার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ২৫ আগষ্ট থেকে ঢাকায় শুরু হওয়া বিএসএফ ও বিজিবি মধ্যে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পুশ-ইন বিষয়টি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোচরে আনা হবে। বিএসএফের পুশ-ইন নিয়ে ঢাকা উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে এই ব্যাপারে নয়াদিল্লীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত সংঘর্ষ বিষয়টি আসন্ন ঢাকার বৈঠকে আলোচনা স্থান পাবে। ২০২৪ আগষ্ট মাসে এক রাজনৈতিক ঘূর্ণাবর্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেলে চলে যায়। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের দায়িত্ব নেয়। নানা কারণে বাংলাদেশে সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের মধ্যে শৈত্য প্রবাহ চলছে। এই আবহে আগামী ২৫ থেকে ২৮ আগষ্ট ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিজিবি এর মধ্যে চার দিনের বৈঠক কূটনীতির দিক দিয়ে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে সংশি-লষ্ট মহলের অভিমত।