August 2, 2025

অনুপ্রবেশ ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শাহকে চিঠি দিলেন প্রদ্যোত!!

 অনুপ্রবেশ ও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি শাহকে চিঠি দিলেন প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ-রোহিঙ্গা ইস্যুতে ত্রিপুরা সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে না। প্রত্যেকদিন রাজ্যে অনুপ্রবেশ হচ্ছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে এখনই প্রয়োজন ইন্ডিয়ান আর্মি এবং আসাম রাইফেলস। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নীরব। তাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। শুধু তাই নয়, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই বিষয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে মথা সুপ্রিমোকে আশ্বাস দিয়েছেন। আজ ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে এমনটাই জানালেন তিপ্রা মথা সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।
তিনি বলেন,অনেক হয়েছে।এখন সব ব্যর্থতার প্রমাণ সহ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তুলে ধরবো আমরা। রাজ্যের একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের প্রতিশ্রুতি হয়তো ভুলে গিয়েছেন। তবে দেশের সরকার আমাদের সাথে একমত। তাই আগামী কিছুদিনের মধ্যেই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের সাথে বৈঠকে বসছেন। আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আমার বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। রাজ্যের মানুষ তৈরি থাকুন, অবিলম্বে আপনারা সুখবর পাবেন।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ক্ষমতা বেশিদিন থাকে না। তবে এমন কাজ করে যেতে হবে, যাতে রাজ্যের পাহাড়ি-বাঙালি মানুষের সর্বক্ষেত্রে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়। এখন ভাবতে হবে। আমরা মানুষের জন্য কী করলাম। এরপর হয়তো আর সময় থাকবে না।
তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে বলেন, এটা একপ্রকার নিশ্চিত শেখ হাসিনাকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেবে না জামায়েতরা। আর খালেদা জিয়া এবং মহম্মদ ইউনুসের দ্বারা যদি বাংলাদেশে নয়া সরকার হয় তবে তা ত্রিপুরা, আসাম এবং মেঘালয়ের জন্য বিপজ্জনক হবে। এরা হল ভারত বিরোধী। বাংলাদেশ, চিন, পাকিস্তানের মধ্যে বৈঠক পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে। তাই বাংলাদেশ নিয়ে এখনই ভারত সরকারকে ভাবতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৪৭ এবং ১৯৭১ সালে আমাদের ভুল হয়েছে। এই ভুল যাতে ২০২৫ সালে না হয়। উত্তরপূর্বাঞ্চল নর্থইস্টের মানুষের রক্ষায় এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এ বিষয়ে ভারত সরকারকেও ভাবতে হবে। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, চিটাগাঙ, কুমিল্লা, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি-চাকলা রোশনাবাদ প্রাচীন ত্রিপুরার অংশ ছিল। গত সত্তর বছর ধরে আমাদের কাছে নেই। চিটাগাঙ সমুদ্রপথ-সমুদ্রবন্দরও আমাদের ছিল। এখনও যদি আমরা ত্রিপুরা থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার দূরে যেতে পারি, তবে আমাদের সমুদ্রবন্দর আমাদের কাছে ফিরে আসবে। এর ফলে ত্রিপুরা সহ সমগ্র নর্থ-ইস্টের মানুষের সর্বক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান রাতারাতি হয়ে যাবে।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, বাংলাদেশকে যে দেশ স্বাধীনতা এনে দিলো, ক্ষমতা দখলের জন্য বর্তমান শাসক গোষ্ঠী সব ভুলে গিয়েছে। পাকিস্তান দ্বারা সবচেয়ে বেশি শোষিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত হয়েছে বাংলাদেশ। এখন তারা পাকিস্তানের প্রশংসা করে, আবার ঘুরিয়ে ভারতবর্ষকে হুঙ্কার দিচ্ছে। এটা বাংলাদেশের হিংসার রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, রাজ্যের একটি অংশ পাহাড়ি-বাঙালির মধ্যে শান্তি ঐক্য সংহতি নষ্টের চেষ্টা করছে।তাই অবৈধ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে কোনো গুজবে ও প্ররোচনার ফাঁদে না পড়ে তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *