August 2, 2025

অনলাইনে প্রেমের ফাঁদ, চিনের ‘প্রেমিক সিন্ডিকেট’ ধরল ইন্দোনেশিয়া।

 অনলাইনে প্রেমের ফাঁদ, চিনের ‘প্রেমিক সিন্ডিকেট’ ধরল ইন্দোনেশিয়া।

অনলাইনে,বিভিন্ন ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে সম্পন্ন ঘরের শুধু মেয়েদের প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, তার পরে হাত বাড়াত তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এখানেই শেষ নয়।সর্বশেষে নারী পাচার! প্রেমের মোড়কে এমন প্রতারণা চক্রটি চলত চিন থেকে।কিন্তু তাদের নিশানা
ছিল, ইন্দোনেশিয়ার মহিলারা। তবে শেষ রক্ষা হল না। সম্প্রতি চিনের আন্তঃসীমান্ত টেলিফোন ও অনলাইন প্রেমিক সিন্ডিকেটের ৮৮
জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ। চিনের নিরাপত্তা মন্ত্ৰক থেকে অনুমতি পাওয়ার পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের পুলিশের মুখপাত্র জাহওয়ানি পাদ্ৰা আরশাদ বলেন, সিঙ্গাপুরের পাশে বাটাম দ্বীপে পাঁচ নারীসহ সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা একটি শিল্প পার্কের দোকানঘর আর বাণিজ্যিক ও কমপ্লেক্স থেকে তাদের নেটওয়ার্ক চালাত। প্রতারণায় তাদের মূল মাধ্যম ছিল মোবাইল ফোন ও অনলাইন ভিডিয়ো গেম। আরশাদ আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, গত বছরের শুরু থেকে এ ধরনের কাজ শুরু করেছে ওই সিন্ডিকেট। তবে তারা ভুয়া প্রেমের ফাঁদে ঠিক কত টাকা সংগ্রহ করেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সিন্ডিকেটের সদস্যরা জানুয়ারী থেকে পর্যটন ভিসা ব্যবহার করে তিন মাসের জন্য চিন থেকে ইন্দোনেশিয়ায় এসেছিল বলে আরশাদ জানান। চিন এই নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে শক্তিশালী পদক্ষেপ করার পরে তারা ইন্দোনেশিয়ায় এসে অপরাধ সংগঠিত করত। তারা সকলে ভুয়ো প্রোফাইল তৈরি করে প্রেমের ফাঁদ পাতত। ব্যবহার করত অন্য কোনও ব্যক্তির ছবি। বিশ্বাসযোগ্য প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে চাইত প্রথমে।প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে, মূলত জরুরি চিকিৎসার নামে টাকা চেয়ে অনুনয় করত। ধৃতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান আরশাদ। সন্দেহভাজনদের মধ্যে স্থানীয় কোনও নাগরিক আছে কিনা খুঁজে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ না থাকে সেক্ষেত্রে অবিলম্বে ধৃতদের দেশ থেকে বিতাড়িত করা হবে। এ ব্যাপারে একযোগে কাজ করছে ইন্দোনেশিয়া পুলিশ ও চিনের জননিরাপত্তা মন্ত্রক। এর আগে টেলিফোন জালিয়াতি ও অনলাইন বিনিয়োগ কেলেঙ্কারি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত চিন ও তাইওয়ানের ৪১৯ জন নাগরিককে ২০১৭ সালে গ্রেফতার করেছিল ইন্দোনেশিয়া। ২০১৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ একই ধরনের মামলায় ৮৫ জন চিনা নাগরিককে গ্রেফতার করে। ইন্দোনেশিয়া সরকার জানিয়েছে, সমস্যাটা শুধু তাদের দেশের নয়, বরং গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *