মর্মান্তিক! ইট ভাটায় চুল্লি ভেঙে মৃত্যু চার শ্রমিকের! আহত আরও চারজন!!
বামুটিয়ার নানা স্থানে ফলন বৃদ্ধি, শিমের চাষিদের মুখে হাসি!!
অনলাইন প্রতিনিধি :-বামুটিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে শিম চাষিদের জমিতে এ বছর ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় পাইকারি কালীবাজারে শিমের জোগান বেড়েছে। বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন রাঙ্গুটিয়া, জলিলপুর, বড়জোশ, তেবারিয়া, নোয়াগাঁও, বেরিমুড়া, ভোগজুর, তুফানিয়ালুঙ্গা, লক্ষ্মীলুঙ্গা, বড়লুঙ্গা, সোনাতলা, বাজালঘাট, কামালঘাট, শান্তিপাড়া, লক্ষ্মণ সিং মুড়া, লেম্বুছড়া, ভাটি ফটিকছড়া, কালাপানিয়া, তালতলা, লালটিলা, বামুটিয়া-গোচামুড়া, ভাগলপুর, নারায়ণপুর, নরসিংগড়, ছনমুড়ি, উদালতলী, দুর্গাবাড়ি অঞ্চলে ছোট বড় কয়েকশ শিম চাষির মুখে এ বছর শিমের ফলন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসি ফুটেছে। গত বছর শীতকালীন শিম ফসল কয়েক দফায় বৃষ্টির ফলে চাষিরা আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এ বছর শীতকালীন শিম গাছে ফুল প্রচুর পরিমাণে ফুটছে। বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন বেশ কিছু গ্রামে ঘুরে চলতি সপ্তাহে কিছু শিম চাষির সঙ্গে আলোচনা করে বোঝা গেছে, শিম ফুলে বৃষ্টির জল পড়লে চাষিরা ক্ষতির শিকার হন। শিম ফুলে সামান্য বৃষ্টির জল লাগলে ফুলে পচন ধরে।এ বছর এখন পর্যন্ত শিম ফসলের বৃষ্টির ফলে তেমন ক্ষতি হয়নি বলেই চাষিদের মুখে হাসি। বামুটিয়া সারা রাজ্যের মধ্যে উন্নতমানের শিম উৎপাদনে শ্রেষ্ঠ বলে বিভিন্ন প্রান্তের সবজি পাইকারের অভিমত। নভেম্বর মাস থেকে সবজির পাইকারি কালীবাজারে শীতকালীন কয়েক প্রকারের শিম জোগান হচ্ছে। বর্তমানে বামুটিয়া কালীবাজারে পাইকারি মার্কেটে প্রতি কেজি শিম ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই জানায়, আগামী সপ্তাহে কালীবাজারে শিমের জোগান অধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পাবে। শিমের দাম আরও কমে যাবে বলে ক্রেতা বিক্রেতাদের অভিমত। বামুটিয়া কৃষি প্রধান এলাকা বলে গোটা রাজ্যের মধ্যে পরিচিত রয়েছে। বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন (গাঁওসভায় এবং ভিলেজে) জাতি-উপজাতি নব্বই শতাংশ পরিবারেই কম বেশি শীতকালীন শিম চাষ করে থাকে। উল্লেখিত গ্রামের অধিকাংশ চাষি (শীত মরশুমে) শত শত কেজি শিম বাজারজাত করছে। প্রতিদিন রাজধানী আগরতলা সহ নানা স্থানের সবজি পাইকারের কালীবাজারে পাইকারি সবজি মার্কেটে ভোর ছয়টা থেকে নয়য়া পর্যন্ত ভিড় জমায়। এবং হাজার হাজার কেজি নানা ধরনের শিম ফসল পাইকারেরা ক্রয় করতে দেখা যায়।