অনলাইন প্রতিনিধি :-বৃহস্পতিবার দুই কোটি চুয়ান্ন লক্ষ বিরানব্বই হাজার টাকায় নির্মিত কুলাই বাজারের কৃষি রেগুলেটরি মার্কেট স্টল উদ্বোধন করেন কৃষি এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ। সঙ্গী হিসাবে সাথে ছিলেন বিধায়ক চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, বিএসি চেয়ারম্যান পরিমল দেববর্মা, সমিতির চেয়ারম্যান হেমালি দেববর্মা, মার্কেট কমিটির সভাপতি কংলা মগ সহ কৃষি দপ্তরের রাজ্য এবং জেলাস্তরের আধিকারিকগণ।
দুটি মার্কেটের ফলক উন্মোচন শেষে প্রত্যেকটি স্টল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
মন্ত্রী কৃষি বিষয়ক বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, দেবালয়ে কোনো দেবতা বা ঈশ্বর থাকেন না। ঈশ্বর বাস করেন প্রতিটি মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে কৃষকরা হলো আমাদের প্রথম ঈশ্বর। কৃষকরাই আমাদের অন্নদাতা। তারা যদি কাজ না করেন, ফসল না ফলান তাহলে দেবালয়ে বাস করা ঈশ্বর নিজ হাতে আমাদের পেট ভরিয়ে দেবেন না। উপস্থিত জনৈক কৃষককে মঞ্চে তুলে তার পায়ে ধরে প্রণাম করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের শেষ সাত বছরে সারা রাজ্যের কৃষকদের কল্যাণে সরকারী টাকা ব্যয় করেছে মাত্র আটাশ কোটি।আর প্রধানমন্ত্রী মোদিজির আশীর্বাদে আমরা এই রাজ্যে সাত বছরে কৃষকদের জন্য খরচ করেছি প্রায় তিনশ তিন কোটি টাকা।এটাই হলো পার্থক্য। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে দেশের অন্নদাতাদের উপকার করা। কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো। সেই লক্ষ্যেই আমরা রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তের কৃষকদের পাশে থাকার জন্য কাজ করে চলেছি।
মন্ত্রী বিগত সরকারের সময়কার নানা কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা খোঁচা দিয়েই বক্তব্য পরিবেশন করেন। গোটা বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, একটা সময় আমাদের দেশ বহিঃরাষ্ট্রের কাছে হাত পেতে খাদ্যসামগ্রী সহ নানা সামগ্রী আনতে হতো। আজ আমাদের আত্মনির্ভরতার পথে পৌঁছে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব।এদিকে কৃষক বন্ধু জ্ঞান কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ। আজ মহকুমার নোয়াগাঁওতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন শ্রীনাথ। তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বিজ্ঞান নির্ভর চাষের ব্যাখ্যা দেন। কৃষকদের অন্নদাতা বলে সম্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিধায়ক মনোজ কান্তি দেব, কৃষি অধিকর্তা পি বি জমাতিয়া, নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন ও ভাইস চেয়ারপার্সন যথাক্রমে প্রশান্ত সিনহা, সুব্রত মজুমদার, সুরমার বিধায়িকা স্বপ্না দাস পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মোট বাহাত্তর লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজ্যে কুড়িটি জ্ঞান কেন্দ্র খোলা হবে বলে জানানো হয়েছে।