৭ই বছরের দীর্ঘ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দৃশ্যমান ভারতে!!

অনলাইন প্রতিনিধি:- বছরের দ্বিতীয় এবং শেষ চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে সাত এবং আট সেপ্টেম্বরের অন্তর্বর্তী রাতে। ২০২২ সালের পর এই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে। এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ কুম্ভ এবং পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রে ঘটবে। ভারতের সব জায়গা থেকেই এই চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করা যাবে। খালি চোখেই একে দেখা যাবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রগ্রহণকে ‘ব্লাড মুন’ আখ্যায়িত করছেন। কারণ এই সময় আকাশে চাঁদ সম্পূর্ণ লাল দেখা যাবে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ার পাবলিক আউট রিচ অ্যান্ড এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এবং পুনেস্থিত ন্যাশনাল সেন্টার ফর রেডিও অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর দিব্যা ওবেরয় বলেন,পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের জন্য আমাদের ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।আগামী ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণের আংশিক পর্যায় শুরু হবে এবং শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১টা বেজে ২৬ মিনিটে। এরমধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা বেজে ১ মিনিট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা বেজে ২৩ মিনিট পর্যন্ত চাঁদ পুরোপুরি ঢাকা থাকবে। পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের মোট সময় কাল ৮২ মিনিট। চন্দ্রগ্রহণের সম্পূর্ণ পর্যায়টি শেষ হবে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ২টা বেজে ২৫ মিনিট নাগাদ।
এই গ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে, তাই দুপুর ১২টা বেজে ৫৭ মিনিটে শুরু হতে চলা এর সূতক কালও বৈধ হবে। ভারত ছাড়াও এই চন্দ্রগ্রহণ এশিয়ার বিভিন্ন অংশ, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, ফিজি এবং অ্যান্টার্কটিকা থেকেও দেখা যাবে। ভারতে চন্দ্রগ্রহণ নিয়ে অনেক অন্ধবিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে এই সময়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে এবং পুজো ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা হয় না। এই সময়ে গর্ভবর্তী মহিলা, বয়স্ক এবং শিশুদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়। খাদ্যে বিষক্রিয়া কিংবা নেতিবাচক শক্তির প্রভাব এড়াতে অনেকেই খাবারদাবার, পানীয় জল কিংবা কায়িক পরিশ্রম ইত্যাদি এড়িয়ে চলেন। পিতৃপক্ষ পূর্ণিমার মাধ্যমে শুরু হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলে থাকেন চন্দ্রগ্রহণ শুধুমাত্র একটি ছায়ার খেলা। পৃথিবী তার কক্ষপথ প্রতিক্ষণকালে যখন সূর্য এবং চাঁদের মধ্যে চলে আসে, তখন এটি সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছতে বাধা দেয়। পৃথিবীর ছায়া তখন চাঁদের উপর পড়ে। ফলে চাঁদের রঙ কালো বা লাল দেখায়। এই ঘটনাকে চন্দ্রগ্রহণ বলা হয়।

Dainik Digital: