অনলাইন প্রতিনিধি :- বায়ুসেনা থেকে অবসর নিল মিগ-২১ যুদ্ধবিমান। এই আবহে ভারত ও রাশিয়ার মৈত্রীর সম্পর্কের কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছ’য়ের দশকে ভারতীয় বায়ুসেনায় পথ চলা শুরু হয় রাশিয়া থেকে আনা মিগ-২১ যুদ্ধ বিমানের। চণ্ডীগড়ে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিগ-২১ যুদ্ধ বিমানের মেগা বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান, এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং থেকে শুরু করে সম্প্রতি মহাকাশ ঘুরে আসা প্রথম ভারতীয় গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা এবং অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
এদিন শেষবার মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধ বিমানে সওয়ার হন এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিং। এর কলসাইন ছিল বাদল-৩। মিগ-২১ যুদ্ধ বিমানকে দেশের জাতীয় গর্ব বলে উল্লেখ করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার নেপথ্যে রয়েছে এই যুদ্ধবিমান। তাই এর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক গভীরে প্রথিত। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘মিগ-২১ শুধু একটি যুদ্ধ বিমান বা যন্ত্র নয়, বরং ভারত-রাশিয়া মধ্যে গভীর সম্পর্কের প্রমাণ। সেনার উড়ানের ইতিহাস অবিশ্বাস্য। সেনার এই উড়ানে অনেক গর্বের মুহূর্ত দিয়েছে মিগ-২১। এর ৬০ বছরের যাত্রাপথের সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা হয় না।’
১৯৬৩ সালে ভারতীয় বায়ুসেনায় রাশিয়ার মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান নিয়োগ করা হয়। সেবছর প্রথম যুদ্ধবিমানটি চালিয়েছিলেন দিলবাগ সিং। পরে ১৯৮১ সালে তিনিই দেশের এয়ার চিফ মার্শাল পদে নিযুক্ত হন। দেশের প্রথম সুপারসোনিক ও ইন্টারসেপ্টর যুদ্ধবিমান মিগ-২১। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, বিশ্বের সামরিক উড়ানের ইতিহাসে এই বিশাল সংখ্যক যুদ্ধবিমান তৈরির কথা নেই।১১,৫০০টিরও বেশি মিগ-২১ যুদ্ধবিমান তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে ৮৫০টি জেট ভারতীয় বায়ুসেনার অংশ ছিল। তিনি বলেন, ‘এই সংখ্যাই বায়ুসেনায় যুদ্ধবিমানের জনপ্রিয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বহুমুখী ক্ষমতার প্রমাণ।’
এদিন অনুষ্ঠান শুরুতে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিজাত স্কাইডাইভিং টিম আকাশ গঙ্গা আট হাজার ফুট উচ্চতায় স্কাইডাইভ করে। এরপর ছিল আকাশে মিগ-২১ বিমানের দুর্দান্ত উড়ান। সঙ্গে যুদ্ধকালীন ড্রিল এবং আকাশপথে স্যালুট। যুদ্ধবিমানের চালকরা মিগ-২১ বিমান চালান। আকাশে সংবর্ধনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নেয় মিগ-২১ জেটের ২৩ নম্বর স্কোয়াড্রন।