অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা
পুর নিগমের চাঞ্চল্যকর চেক জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চূড়ান্ত ব্যর্থ রাজ্য পুলিশ। এই সুযোগে আদালত থেকে আগাম জামিন পেতে আবেদন করতে শুরু করেছে বহি:রাজ্যের অভিযুক্তরা। বিমল কুমার জুয়ালা প্রসাদ শ্রীবাস্তব নামে এক অভিযুক্ত আগাম জামিন চেয়ে পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা আদালতে আবেদন করেছেন। বিমলের বাড়ি নাগপুরের বতিবাগের ভানখেদা মতিবাগে। আগামী চব্বিশ অক্টোবর তাঁর আবেদনটি শুনামির জন্য উঠবে জেলা ও দায়রা আদালতে।আগরতলা পুর নিগমের ইউকো ব্যাঙ্কে ষোল কোটি টাকা জালিয়াতির মামলায় একমাত্র গ্রেপ্তার রামিয়ানি শ্রীময়ীকে বুধবার আবারও আগরতলায় সিজেএম আদালতে হাজির করবে পুলিশ। মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার বিষয়ে বুধবার আদালতে বক্তব্য জানাতে পারে রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে, তদন্তে নেমে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইকোনমিক অফেন্স বিভাগ অভিযুক্তদের মামলা থেকে বাঁচার সুযোগ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাইরের বিভিন্ন কোম্পানির মালিকদের ফোন করে ক্রাইম ব্রাঞ্চে এসে হাজিরা দিতে বলা হচ্ছে। অথচ তাদের গ্রেপ্তার করতে ইকোনমিক অফেন্স বিভাগের কেউ অভিযানে যাচ্ছেন না। এ নিয়ে বড় ধরনের রহস্য তৈরি হয়েছে। ক্রাইম ব্রাঞ্চ সূত্রে আরও জানা গেছে, জালিয়াতির মামলায় এখন পর্যন্ত তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চব্বিশটি অ্যাকাউন্টে টাকা গেছে।এই অ্যাকাউন্টগুলি হায়দ্রাবাদ, নাগপুর, হরিয়ানা, গুজরাট সহ আরও কয়েকটি রাজ্যের কোম্পানির নামে রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকা গেছে নাগপুরের একটি কোম্পানির নামে। এই কোম্পানির মালিকের নাম ঠিকানা পেয়েছে ইকোনমিক অফেন্স শাখা।জানা গেছে, এই শাখার এক অফিসার কোম্পানির মালিককে ফোন করে রাজ্যে এসে হাজিরা দিয়ে যেতে বলেছে। এই ব্যক্তি নিজে না এসে দিল্লী হাইকোর্টের এক আইনজীবীকে রাজ্যে পাঠিয়েছিলেন। আগাম জামিন নিতে এই আইনজীবী আলোচনা করে গেছেন।
প্রশ্ন উঠছে, ইকোনমিক অফেন্স শাখার এসপি পিয়া মাধুরী মজুমদারকে এই বুদ্ধি কে বা কারা দেন? তাঁর বিভাগ থেকে ফোন করে ডাকা হয় অভিযুক্তদের। ইকোনমিক অফেন্স শাখার অফিসারদের কি টাকা দেওয়া হয় না নাগপুর যাওয়ার জন্য? নাকি এই বিভাগের অফিসারের সাহস নেই নাগপুর গিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অভিযুক্ত কোম্পানির মালিককে তুলে আনতে। অথবা জিজ্ঞাসাবাদ করতে? পুলিশ মহলেই প্রশ্ন উঠছে, এটা যদি পশ্চিম আগরতলা থানার ওসি রানা চ্যাটার্জিকে পাঠানো হতো তিনি ঠিক অভিযুক্তদের তুলে আনতে পারতেন। কারণ মহারাষ্ট্রে রানা চ্যাটার্জির ভলো লিংক রয়েছে। ষোল কোটি টাকার প্রতারণার মামলাটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে রাজ্য পুলিশের জন্য বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে পশ্চিম আগরতলা থানা, পরে পশ্চিম জেলা পুলিশের হয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইকোনমিক অফেন্স শাখায় গেছে তদন্তের দায়িত্বে। অন্যদিকে, চেক জালিয়াতির মামলায় একমাত্র ধৃত রামিয়ানি বুধবার আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।