দৈনিক সংবাদ অনলাইন :-এন এন এস – সকালে, বিকেলে বা রাতে ঘুমানের আগে অনেকেই আখরোট ও চিনাবাদাম খান। কেউ ওজন কমানোর জন্য, কেউ আবার শরীরে শক্তি বাড়াতে। বাদাম যে পুষ্টিকর, সেটা সবাই জানে।কিন্তু প্রতিদিন ঠিক কতটা বাদাম খেলে শরীরের উপকার হয়? আর বেশি খেলে কি কোনও ক্ষতি হতে পারে?
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বাদামে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে যেহেতু বাদামে ক্যালোরি বেশি, তাই ‘এক মুঠো’ পরিমাণই যথেষ্ট- তার বেশি হলে উল্টো ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
দিনে কয়টা আখরোট যথেষ্ট? প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি আখরোট খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এই পরিমাণে প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম বাদাম হয়, যা থেকে শরীর পায় পর্যাপ্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এই পরিমাণ আখরোট খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে, ভালো কোলেস্টেরল বাড়ে এবং মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় থাকে।চিনাবাদাম খাবেন কতটা?চিনাবাদামও ‘প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বির ভালো উৎস। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দৈনিক ৩০-৫০ গ্রাম চিনাবাদাম, অর্থাৎ প্রায় এক মুঠো বা ২৫-৩০টি বাদামই যথেষ্ট। এতে প্রায় ১০ গ্রাম প্রোটিন, ভিটামিন বি৩, ম্যাগনেশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।তবে ভাজা বা লবণ মেশানো বাদাম না খেয়ে সাধারণ শুকনো ভাজা বা কাঁচা চিনাবাদাম খাওয়া ভালো। এতে সোডিয়াম ও ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে থাকে।যাদের সতর্ক থাকা দরকার -যাদের অ্যালার্জি, কিডনির সমস্যা বা অতিরিক্ত ওজন আছে, তারা বাদাম খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখবেন।ডায়াবেটিস রোগীরা লবণ ও চিনি ছাড়া বাদাম বেছে নেবেন। দিনে মোট বাদাম গ্রহণের পরিমাণ ৫০-৬০ গ্রাম অতিক্রম না করাই ভালো। উপকার পেতে সকালে বা দুপুরে খাবারের ফাঁকে বাদাম খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। রাতে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে।