গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের স্লোগান তুলে সহজ সরল জনজাতিদের আবেগ উসকে দিয়ে থানসার ডাক দিয়েছিলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা গেল রাজ্যের জনজাতিদের একটা বড় অংশ প্রদ্যোতের সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। উল্টো জনজাতি সমাজে থানসা দেখালো বিজেপি ৷ কুড়িটি জনজাতি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিজেপি জয়ী হয়েছে সাতটি আসনে। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের তিপ্ৰা মথা জয়ী হয়েছে তেরটি আসনে। সিপিআই(এম) এবার শূন্য। ২০১৮ সালে জয়ী দুইটি আসনও এবার সিপিএম ধরে রাখতে পারেনি। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, তিপ্রা মথা যে তেরোটি আসনে জয়ী হয়েছে, তার মধ্যে সাতটি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা দ্বিতীয় স্থানে ছিলো। পাঁচটি আসনে সিপিআই(এম) প্রার্থী দ্বিতীয়স্থানে ছিল। একটি আসনে আইপিএফটি দ্বিতীয় স্থানে ছিলো। একটি আসনে আইপিএফটি দ্বিতীয় স্থানে ছিলো।এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট পাহাড়ে গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের স্লোগান কে এবং থানসা, দুটোর মধ্যে একটিও কাজ করেনি! জনজাতিদের আবেগের ভোট কুড়িয়েছেন প্রদ্যোত কিশোর। কিন্তু এমন জায়গায় জনজাতিরা তাকে থামিয়ে দিয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়ে তার না হলো গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ড,না হলো অন্য কিছু। গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের প্রবল হাওয়ার মধ্যেও বিজেপি জনজাতিদের আস্থা ও বিশ্বাস ধরে রাখতে পেরেছে। বিজেপি এককভাবে পনেরোটি আসনে লড়াই করে ছয়টি আসনে জয়ী হয়েছে। একটি আসনে জয়ী হয়েছে শরীক দলের প্রার্থী। বাকি আসনগুলিতেও বিজেপি নয় হাজার থেকে পনের হাজারের উপরে ভোট পেয়েছে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, রাজ্যের জনজাতিদের যে ১৯টি সম্প্রদায় রয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বড় ছয়টি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি জয়ী হয়েছেন। যেমন দেববর্মা, রিয়াং, জমাতিয়া, চাকমা, মগ এবং নোয়াতিয়া। রাজ্যের জনজাতিদের মধ্যে এই সম্প্রদায়গুলির জনগণই বেশি। ত্রিপুরী সম্প্রদায়ও রয়েছে। তবে ত্রিপুরী সম্প্রদায়ের একজন প্রার্থী জয়ী হয়েছেন তিপ্ৰা মথা দল থেকে। শুধু পাহাড়েই নয়, রাজ্যের দশটি তপশিলি জাতি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিজেপি এবার সাতটি আসনে জয়ী হয়েছে। তবে বিজেপি গতবারের জয়ী তিনটি তপশিলি সংরক্ষিত আসন বামুটিয়া, বড়জলা এবং প্রতাপগড় এবার ধরে রাখতে না পারলেও, রাজনগর এবং কাকড়াবন-শালগড়া এই দুটি আসনে এবার জয়ী হয়েছে। সবমিলিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে পাহাড়। নির্বাচনের আগে এক প্রকার ধরেই নেওয়া হয়েছিলো যে, পাহাড়ে এবার তিপ্রা মথার একচ্ছত্র আধিপত্য থাকবে। প্রদ্যোত কিশোর হয়ে উঠবেন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে কিং মেকার। কিন্তু সে আশায়
গুড়ে বালি। কোনও আশাই পূর্ণ হলো না।
প্রদ্যোতের থানসা যদি কাজ করতো তাহলে বিজেপির এক-দুটি আসনের বেশি অন্য কোনও আসনে জয়ী হওয়ার কথা ছিলো না। কিন্তু ভোট গণনার পর দেখা গেলো চিত্রটা উল্টো। মাঝপথে আটকে গেলেন প্রদ্যোত কিশোর। এখন তার অবস্থা ‘না ঘর কা না ঘাট কা’ পরিস্থিতি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোপিয়ানে সেনার হাতে খতম হল তিন লস্কর জঙ্গি। সেনার দাবী, জম্মু-কাশ্মীরে বহুদিন ধরেই…
অনলাইন প্রতিনিধি :-অভিনব কায়দায় গাজা পাচার করতে গিয়ে আটক দুই পাচারকারী। চুরাইবাড়ি থানার সামনে অসম…