সর্বশিক্ষার টেট উত্তীর্ণ শিক্ষকদের,নিয়মিত বেতনক্রম প্রদানের নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সর্বশিক্ষা প্রকল্পে নিযুক্ত থাকাকালীন টেট উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা দপ্তরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষক পদে নিযুক্ত রিট আবেদনকারীদের নিয়মিত বেতনক্রম প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পূর্বতন নিয়োগের সময়কালকে স্বীকৃতি প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। উনিশটি রিট মামলায় এই রায় প্রদান করেছেন বিচারপতি এস দত্ত পুরকায়স্থ। রিট মামলাগুলোর আবেদনকারীরা সর্বশিক্ষা প্রকল্পে শিক্ষক হিসাবে প্রথমে কর্মরত ছিলেন। সর্বশিক্ষা প্রকল্পে কর্মরত থাকাকালীন টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে শিক্ষা দপ্তরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষক পদে নিযুক্তি পান।সর্বশিক্ষা প্রকল্পে স্থির বেতনে পাঁচ বছরের অধিক কর্মরত থাকার পর শিক্ষা দপ্তরে পুনরায় স্থির বেতনে নিযুক্ত হন। পাঁচ বছর পর নিয়মিত বেতনক্রম প্রদান করা হয় রিট আবেদনকারীদের। সর্বশিক্ষা প্রকল্পে পাঁচ বছরের অধিক স্থির বেতনে থাকার পর টেট উত্তীর্ণ হয়ে নিযুক্তির পর নিয়মিত বেতনক্রমের জন্য রিট আবেদনকারীদের পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সর্বশিক্ষার মেয়াদকালকে স্বীকৃতি প্রদান করলে নতুন নিয়োগের প্রথম দিন থেকেই নিয়মিত বেতনক্রমের অধিকারী ছিলেন আবেদনকারীরা। শিক্ষা দপ্তর আবেদনকারীদের ন্যায্য দাবিতে কর্ণপাত করেনি। যদিও রিট আবেদনকারীরা সর্বশিক্ষায় নিযুক্ত থাকলে পর সজল দেব বনাম রাজ্য সরকার মামলায় উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী পাঁচ বছর মেয়াদের পর নিয়মিত বেতনক্রম পেতেন এবং দশ বছর মেয়াদের পর চাকরিতে নিয়মিত হতেন। শিক্ষা দপ্তরের স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকার আদায়ে ২০২২ ‘সালে রিট মামলাগুলি দায়ের করেন বঞ্চিত শিক্ষকরা। ছাব্বিশটি রিট মামলায় প্রদত্ত রায়ে উচ্চ আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, রিট আবেদনকারীদের নিয়মিত বেতনক্রম প্রাপ্তির জন্য পাঁচ বছর স্থির বেতনে সর্বশিক্ষায় কর্মকালকে হিসাবে এনে নিয়মিত বেতন প্রদান করতে হবে। বকেয়া সহ নিয়মিত বেতনক্রম আগামী ছয় মাসের মধ্যে দুই দফায় প্রদান করতে হবে। এই রায়ের ফলে শুধুমাত্র রিট আবেদনকারীরাই নয়, বহু সংখ্যক শিক্ষক উপকৃত হবেন। রিট মামলাগুলোয় আবেদনকারী পক্ষে লড়েছেন বরিষ্ঠ আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মণ, আইনজীবী সমরজিৎ ভট্টাচার্য, কৌশিক নাথ ও আরাধিতা দেববর্মা। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার উচ্চ আদালতের রায়কে মান্যতা দেয় কিনা, নাকি সুপ্রিম কোর্ট অবধি লড়ে যাবে শিক্ষকদের বঞ্চনাকে প্রলম্বিত করার জন্য।

Dainik Digital: