সম্ভাব্য সেরা সপ্তদীপ, অরিন্দম, মাধ্যমিকে পাসের হার ৮৬%, দ্বাদশে ৮৩%।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি || প্রকাশিত হয়েছে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ফলাফল। সোমবার বেলা বারোটায় গোর্খাবস্তিস্থিত পর্ষদের মিলনায়তনে আহুত সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় ফলাফল। পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ভবতোষ সাহা একযোগে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক সহ মাধ্যমিক সমতুল মাদ্রাসা আলিম এবং উচ্চ মাধ্যমিক সমতুল মাদ্রাসা ফাজিল কলা ও ফাজিল থিওলজির ফলাফল জানান আনুষ্ঠানিকভাবে।ঘোষিত ফলাফল অনুসারে এবছর ২০২৩ সালে মাধ্যমিক পাসের হার ৮৬.০২শতাংশ।উচ্চমাধ্যমিকে পাসের হার ৮৩.২৪ শতাংশ।গত বছর ২০২২ সালের তুলনায় মাধ্যমিক হার বেড়েছে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রায় এগারো শতাংশ। গতবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে পাস করেছে যথাক্রমে ৮৬এবং ৯৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী।জেলাভিত্তিক হিসাবে এবার মাধ্যমিকে পাসের হারে এগিয়ে গোমতী। পিছিয়ে রয়েছে উত্তর জেলা। গোমতী জেলায় মাধ্যমিকে সর্বাধিক ৯২.৩০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে।উত্তর জেলায় পাস করেছে ৭৭.৮০ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে পাসের নিরিখে এগিয়ে সিপাহিজলা।পিছিয়ে ধলাই। সিপাহিজলা জেলায় উচ্চমাধ্যমিকে ৮৮.৬০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। ধলাই জেলায় পাস করেছে ৬৯.৯৬ শতাংশ।মহকুমার হিসাবে উভয় ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে গোমতী জেলার আওতাধীন করবুক মহকুমা। মাধ্যমিকে ৯৭.৪০ এবং উচ্চমাধ্যমিকে ৯৫.৬২ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে করবুক মহকুমায়।মহকুমার নিরিখে মাধ্যমিকে সর্বনিম্ন ৭৪.৩৩ শতাংশ পাসের হার পানিসাগর মহকুমায়। উচ্চমাধ্যমিকে সর্বনিম্ন ৬৩.০৯ শতাংশ পাসের হার রয়েছে লংতরাইভ্যালি মহকুমায়।পর্ষদের সচিব ড. দুলাল দে, উপসচিব শুভাশিস চৌধুরী, বিশেষ আধিকারিক দীপ্তাংশু প্রকাশ দত্ত, অভিজিৎ ভট্টাচার্য এবং জ্যোতির্ময় রায়ের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা। তুলে ধরেন বিভিন্ন তথ্য। তিনি জানান, মাধ্যমিকে পশুপালন, মিজো এবং মাধ্যমিক সমতুল মাদ্রাসা আলিমের থিওলজি পরীক্ষায় একশ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। মাধ্যমিক ও সমতুল পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৮৫.৯৬ শতাংশ পাসের হার প্রাথমিক অঙ্কে উচ্চমাধ্যমিক ও সমতুল মাদ্রাসা ফাজিলে কৃষি-দুগ্ধ উৎপাদন, স্বাস্থ্য কর্ম, আরবি, কম্পিউটার, হিন্দী, ইসলামিক ইতিহাস, ইসলামিক শিক্ষা, সঙ্গীত, সমাজবিদ্যা, থিওলজিতে একশ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে। সর্বনিম্ন ৮৩.৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে কৃষি-বাগান বিষয়ে। মাধ্যমিকে দুশো চৌন্দ এবং উচ্চমাধ্যমিকে উনিশটি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা একশো শতাংশ পাস করেছে। মাধ্যমিকে দুটি এবং উচ্চমাধ্যমিকে একটি বিদ্যালয়ের একশো শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি।এবার মধ্যশিক্ষা পর্যদের তরফে কোনও মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। তবে বেসরকারী সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে মাধ্যমিকে সম্ভাব্য দশ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে আঠাশ জন। উচ্চমাধ্যমিকে সম্ভাব্য প্রথম দশজনের মেধা তালিকায় স্থান। পেয়েছে সতেরো জন। মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক উভয় ক্ষেত্রেই সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে একজন করে।প্রাপ্ত তালিকা অনুসারে মাধ্যমিকে সম্ভাব্য প্রথম দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার শান্তিরবাজার মহকুমার সান ফ্লাওয়ার ইংলিশ মিডিয়াম একাডেমির সপ্তদীপ পাল। মোট ৫০০ নম্বরে তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪ নম্বর। উচ্চমাধ্যমিকেও সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে দক্ষিণ জেলার পরীক্ষার্থী।জেলা সদর বিলোনীয়া মহকুমার ঋষ্যমুখ দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের পরীক্ষার্থী অরিন্দম মল্ল ৫০০র মধ্যে ৪৯৩ নম্বর পেয়েছে।মাধ্যমিকে সম্ভাব্য দ্বিতীয় পশ্চিম জেলার সদর মহকুমার মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের নিলাভী ভৌমিক। তার প্রাপ্ত ৪৯৩ নম্বর। মাধ্যমিকে সম্ভাব্য তৃতীয় পাঁচ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার আনন্দমার্গ উচ্চ বিদ্যায়ের (ইংরেজি মাধ্যম) শুভ্রনীল দেবনাথ, উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরের কলাছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সুমিত্রা দাস, একই মহকুমার নর্থ পয়েন্ট স্কুলের অনিকেত ভট্টাচার্য, দক্ষিণ জেলার শান্তিরবাজারের বৃত্তক শিক্ষানিকেতনের পার্মিতা দাস এবং আগরতলার মহারাণী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাচী চৌধুরী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯১ নম্বর। ৪৯০ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হয়েছে শান্তিরবাজারের হলিক্রস সাউথ (ইংরেজি মাধ্যম) দ্বাদশ বিদ্যালয়ের সায়ন দেবনাথ। ৪৮৯ নম্বর পেয়ে পঞ্চম হয়েছে মোট তিন জন। তাদের মধ্যে রয়েছে গোমতী জেলা সদর উদয়পুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ দ্বাদশ বিদ্যালয়ের দীপ্তনু পাল, সিপাহিজলা জেলার সোনামুড়া মহকুমার রামকৃষ্ণ শিশুতীর্থ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিবম মজুমদার এবং বিলোনীয়ার জ্যোতিশ্বরানন্দ শিশু নিকেতনের দেবজিৎ পাল।
মাধ্যমিকে ৪৮৮ নম্বর পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছে দুজন।তাদের মধ্যে রয়েছে ধর্মনগর সরকারী দ্বাদশ বালিকা বিদ্যালয়ের সুমিতা আচার্য এবং সোনামুড়া কুমারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দেবু দেবনাথ।৪৮৭ নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে চারজন।তাদের মধ্যে রয়েছে খোয়াইয়ের সোনাতলা সরকারী দ্বাদশ বিদ্যালয়ের সায়ন দেবনাথ, ধর্মনগর সরকারী বালিকা দ্বাদশের স্বর্ণালী দেবনাথ, সিপাহিজলা জেলার সদর বিশালগড়ের বিবেকানন্দ শিশু নিকেতনের কঙ্কনা মজুমদার এবং কুমারঘাটের নিবেদিতা চিলড্রেন্স স্কুলের দেবদীপ ধর।৪৮৬ নম্বর পেয়ে অষ্টম হয়েছে মহারাণী তুলসীবতীর ঈষিতা চক্রবর্তী। ৪৮৫ নম্বর পেয়ে নবম হয়েছে পাঁচ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ বিদ্যালয়ের সৃষ্টিকা পাল, ধর্মনগর বালিকা দ্বাদশের অর্পিতা দেবনাথ এবং বর্ষা দাস, ধর্মনগরের কদমতলা দ্বাদশ বিদ্যালয়ের অন্বেষা নাথ এবং নিউ শিশুবিহারের শুভ্রাংশু দেবনাথ। ৪৮৪ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিকে সম্ভাব্য দশম হয়েছে পাঁচ জন। তাদের মধ্যে রয়েছে ধলাই জেলার কমলপুর মহকুমার হরচন্দ্র দ্বাদশ বিদ্যালয়ের সাগরিকা ঘোষ, ধর্মনগর বালিকা দ্বাদশের সপ্তদীপা নাথ, বিশালগড়ের বিবেকানন্দ শিশু নিকেতনের রাজেশ দাস, সদরের কামিনী কুমার দ্বাদশ এবং তুলসীবতীর গৌরব ভৌমিক ও অস্মিতা পাল।উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৭ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য দ্বিতীয় হয়েছে দুইজন। তাদের মধ্যে রয়েছে উদয়পুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের বিজ্ঞান বিভাগের অরিজিৎ পাল এবং শান্তিরবাজারের জোলাইবাড়ি বালিকা দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগের নিশিকা সরকার। ৪৮৪ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে তিন জন। তাদের মধ্যে রয়েছে বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের বিজ্ঞান বিভাগের সৌম্যদ্বীপ রায়, ধর্মনগরের বীরবিক্রম ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞান বিভাগের কৌশিক পাল চৌধুরী এবং বিশালগড়ের চড়িলাম দ্বাদশ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের দেবাশিস দেব। ৪৮৩ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হয়েছে সদরের নবগ্রাম দ্বাদশ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের তন্ময় দেবনাথ।৪৮২ নম্বর পেয়ে পঞ্চম হয়েছে উমাকান্ত একাডেমির বিজ্ঞান বিভাগের রাজদ্বীপ ঘোষ।৪৮১ নম্বর পেয়ে সম্ভাব্য ষষ্ঠ হয়েছে বিলোনীয়ার অভয়নগর দ্বাদশের কলা বিভাগের সুস্মিতা নাথ।৪৮০ নম্বর পেয়ে সপ্তম হয়েছে বিলোনীয়া বড়পাথরী দ্বাদশের কলা বিভাগের পূজা ভৌমিক এবং সদরের সেকেরকোট দ্বাদশের কলা বিভাগেরই কৃষ্ণ দেবনাথ।৪৭৯ নম্বর পেয়ে অষ্ট হয়েছে চার জন। তাদের মধ্যে রয়েছে ধর্মনগরের চন্দ্রপুর দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগের সাগ্নিক পুরকায়স্থ, সোনামুড়ার উত্তর কামরাঙ্গাতলি দ্বাদশের কলা বিভাগের অর্পিতা দে এবং সদরের চারিপাড়া দ্বাদশের রণজিৎ বিশ্বাস ও নেতাজী সুভাষ বিদ্যানিকেতনের সায়স্তিকা ভৌমিক। তারা উভয়েই কলা বিভাগের। ৪৭৭ নম্বর পেয়ে নবম হয়েছে খোয়াই দ্বাদশের বিজ্ঞানের অঙ্কিত পাল।৪৭৬ নম্বর পেয়ে উমাকান্ত একাডেমির বিজ্ঞানের অলয় বণিক দশম হয়েছে।

Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

8 hours ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

8 hours ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

10 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

10 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

11 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

12 hours ago