শান্তিরবাজারের বর্বর অত্যাচারের ঘটনা,রাজনৈতিক ব্যর্থতা, গোষ্ঠীকোন্দল ষড়যন্ত্রের কর্মফল: প্রদ্যোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার দম্ভে ষড়যন্ত্র করছেন। অপেক্ষা করুন নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করে আপনারা ত্রিপুরায় ধ্বংস হয়ে যাবেন। এর শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালিবিরোধী বানানোর চেষ্টা করছেন-সাম্প্রদায়িক বলছেন। তৈরি থাকুন আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের শূন্যে আনা হবে। আজ ঠিক এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।
তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়াকে পাশে বসিয়ে লংতরাইভ্যালীতে তিপ্রাসা হদার সমাবেশে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্য সরকারকে সতর্ক করে বলেন, আমাদের কোন মন্ত্রী থেকে সার্টিফিকেট নিতে হবে না।আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ থেকে আপনারা বিরত থাকুন। কমলপুরের শান্তিরবাজারে যে বর্বর অত্যাচার হয়েছে, আপনাদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা,গোষ্টী কোন্দল এবং
পূর্বপরিকল্পিত একে অপরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কর্মফল।নির্বাচন এলে ক্ষমতায় বসার জন্য আমাদের কাছে এসে নাটক করছেন,আর ক্ষমতায় বসে আমাদের সাম্প্রদায়িক, বাঙালিবিরোধী
বানানোর চেষ্টা করছেন। অপেক্ষা করুন, ভিলেজ কাউন্সিল নির্বাচন এবং এডিসি ভোটে আপনারা উপযুক্ত শিক্ষা পাবেন। রাজ্যের পাহাড়ে আপনাদের ঢাকি সহ বিসর্জন হবে। উপজাতি এবং বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষকে আপনারা আর বোকা বানাতে পারবেন না। অনেক হয়েছে, এবার কর্মফলের জন্য তৈরি থাকতে হবে। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মিজোরামের উপজাতি জনসমাজকে তাদের অধিকার প্রদান হয়েছে। ত্রিপুরাতে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। শাসকদলের একাংশ রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতার দম্ভে ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে বাধা দিচ্ছেন। সব প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। সময় এলে রাজ্যবাসীর কাছে উত্থাপন করব। গরিব তিপ্রাসাদের সম্মান না দিলে কী হতে পারে তা সারা বিশ্বের মানুষ নেপালের গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ করেছেন।
রাজতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন। যদি সত্যিই রাজ্যে গণতন্ত্র থাকে তবে কেন আমাদের অধিকার আদায়ের জন্য দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে এ প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, আমি রাজ্যে পাহাড়ি বাঙালি ত্রিপুরা গড়ার লক্ষ্যে পথে নেমেছি। আপনারা পাহাড়ি বাঙালির মধ্যে দাঙ্গা লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। শেষরক্ষা হবে না। রাজ্যের মানুষের কাছে সব ধরা পড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরার একাংশ বিজেপি নেতা ত্রিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত পূরণে বাধা দিচ্ছেন। তিনি ত্রিপুরার নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তৈরি থাকুন নির্বাচনে আপনাদের উপযুক্ত জবাব প্রদান হবে।
তিনি বলেন, আমরা আগামী ৭ নভেম্বর রাজধানীর আস্তাবল মাঠে পাহাড়ি-বাঙালির ঐক্য সংহতি রক্ষায় এবং আমাদের অধিকার আদায়ে সমাবেশ হচ্ছে।
এদিনের সমাবেশে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে তিনি শামিলের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, উপজাতি জনসমাজের আর্থসামাজিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে নর্থ ইস্টের সব জনজাতি দলগুলি নিয়ে আমরা একটি পৃথক দল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তৈরি থাকুন বৃহত্তর পরিসরে এবার গণ আন্দোলন হবে। আমাদের আর ঠকানো যাবে না।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ভূয়সী প্রশংসা করে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ বলেন, ত্রিপাক্ষিক চুক্তির জন্য রাজ্যের জাতি-উপজাতি, পাহাড়ি-বাঙালি সহ মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। রাজ্যের উপজতি জনসমাজের এখনও অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের মতো অধিকার চাইতে হচ্ছে। এটা আমাদের কাছে বেদনাদায়ক। প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী ১২৫ তম সংবিধান সংশোধনী বিলে অনুমোদন প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এডিসিকে সরাসরি অর্থ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। ত্রিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে আমরা সব অধিকার ফিরে পাবো।
মানুষ তাদের ভাষার অধিকার, ভূমির অধিকার, আর্থসামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার, অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের অধিকার ফিরে পাবে। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, স্কুল, কলেজ, টেকনিক্যাল কলেজ, উইমেন্স কলেজ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন, বিদ্যুৎ সমস্যার নিরসন, হাসপাতাল সহ আর্টিকেল ২৩-তে অনুমোদন প্রদান ওত্রিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুমোদন করতে হবে।

Dainik Digital: