অনলাইন প্রতিনিধি :-ইয়াবা ট্যাবলেট, ফেন্সিডিল, হেরোইনের মতো উত্তেজক নেশাদ্রব্য এমনিতেই ছড়িয়ে আছে গোটা রাজ্যে। এবার দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলিতে তৈরি কোটি কোটি টাকার কোকেন চলে এল আগরতলায়! অথচ রাজ্য পুলিশ এবং পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গভীর ঘুমে। পূর্ব ভারতে সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বেশি টাকার কোকেন উদ্ধার হল আগরতলায়। আসাম-রাইফেলস ও কাস্টমসের যৌথ অভিযানে আগরতলার জগন্নাথ মন্দিরের সামনে থেকে দুই যুবক সহ কোকেন উদ্ধার করা হয়েছে। খুব উত্তেজক এই নেশাদ্রব্য ভারত সহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে নিষিদ্ধ। ভারতে এই কোকেন হয় না।অথচ দক্ষিণ আমেরিকার দেশে তৈরি কোকেন চলে এলো আগরতলায়।রাজ্যের নেশা কারবারিদের হাত আমেরিকা পর্যন্ত পৌছে গেল। জানা গেছে, পাঞ্জাব হয়ে এই কোকেন আগরতলায় এসেছে। যা নিশ্চিত ভাবে বড় চিন্তার কারণ তথাকথিত নেশামুক্ত ত্রিপুরার জন্য।
রাজ্য বিজেপি জোট সরকারের মন্ত্রীরা বারবার নেশামুক্ত ত্রিপুরার স্লোগান দিয়ে চলেছেন। অথচ হচ্ছে প্রায় বিপরীত। আসাম রাইফেলস জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কোকেন খুব উচ্চ মানের। দামও খুব বেশি। দুই যুবকের কাছে ৮০০ গ্রাম কোকেন পাওয়া গেছে। যার বাজারমূল্য আট কোটি টাকা। বিশালগড়ের দুই যুবকের কাছে এই কোকেন পাওয়া গেছে। তারা জগন্নাথ মন্দিরের কাছে এই কোকেন বিক্রি করতে এসেছিল। আট কোটি টাকার কোকেন কেনার মতো ব্যক্তি মন্দিরের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখে চিন্তার ভাজ রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের মধ্যেও। আসাম রাইফেলসের বক্তব্য, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অন্যতম বড় কোকেন বাজেয়াপ্তের ঘটনা হয়েছে গত ১৭ নভেম্বর রাজধানীর জগন্নাথ মন্দির এলাকায়। মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আসাম রাইফেলস জানিয়েছে, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের কঠোর অভিযান অব্যাহত থাকবে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আসাম রাইফেলস সবসময়ই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এদিকে, রাজ্য পুলিশ সিপাহিজলা জেলায় গাঁজার বাগান কাটাতে ব্যস্ত। অথচ আসাম রাইফেলস জিরানিয়া রেল স্টেশন থেকে কয়েক কোটি টাকার ফেন্সিডিল এবং খোয়াই ও মোহনপুরে আলাদা অভিযানে ১৩০ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করল। রাজ্য পুলিশ নেশার বড় কারবারিদের আটক করতে বরাবরই ব্যর্থ হচ্ছে। জিরানিয়ার ফেন্সিডিল কান্ডে তদন্তে নামলেও মামলার সঙ্গে যুক্ত অধিকাংশ ফেন্সিডিল কারবারি এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তারা আইনের বেড়াজালের বাইরে। অনেকে কলকাতায় আরাম আয়াসে থাকছে। তাদের তুলে আনতে অভিযানও করছে না ক্রাইম ব্রাঞ্চ বলে অভিযোগ।