রুখিয়ায় ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমিপুজো ২৬শেঃ রতন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গ্যাস সংকটের মধ্যেও অবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম রুখিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই নয়া প্রকল্পের ভূমি পূজন হবে আগামী ছাব্বিশ নভেম্বর। আজ এই কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথ। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, আগামী ছাব্বিশ নভেম্বর রুখিয়া পাওয়ার প্ল্যান্টে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ‘লক্ষ্যে কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন প্রযুক্তি বাস্তবায়নের শিলান্যাস তথা ভূমি পূজন করা হবে। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রুখিয়া পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রকৃত সক্ষমতা ছিল ৬৩ মেগাওয়াট। কিন্তু সে সময় গড়ে চল্লিশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হতো। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরেও একই ভাবে চল্লিশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে গ্যাস সংকট থাকা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ নিগম ৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পেরেছিল। তবে ২০২২-২৩ সালে পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকায় প্ল্যান্টটি বন্ধ রাখতে হয়। ২০১৮ সালের আগের সরকার প্রয়োজনীয় অনুমতি বা ছাড়পত্র নেয়নি। মন্ত্রী রতনলাল নাথ নিজে দিল্লী গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন এই বিষয়ে। অবশেষে পরিবেশগত ছাড়পত্র পাওয়ার পর সমস্যার সমাধান হয়।বর্তমানে রুখিয়া পাওয়ার প্ল্যান্টে উনিশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
মন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ নিগম নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তন করেছে, যা কম্বাইন্ড সাইকেল গ্যাস টারবাইন প্রযুক্তি নামে পরিচিত। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে একই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বর্তমানে বেশ বেশি। এই প্রকল্পে জিএসটি বাদে প্রায় ১,১১৯ কোটি টাকা ব্যয় হবে। গ্যাসের সীমিত মজুত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, গ্যাস কারও হাতে নেই এটি প্রাকৃতিক সম্পদ। যা ধীরে ধীরে ফুরিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই রাজ্য সরকার এখন সৌরশক্তির বিকাশে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

Dainik Digital: