অনলাইন প্রতিনিধি :-অর্থনৈতিকভাবে মহিলাদের স্বাধীনতা দেওয়াই রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্য।এ রাজ্যে বর্তমানে লাখপতি দিদি হয়েছেন ১,০৮,২৮১ জন। যা শতকরা অনুপাতে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৫ শতাংশ। টিআরএলএম (ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশন) এর অধীনে মূলত স্বসহায়ক গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বশক্তিকরণের লক্ষ্যে শনিবার আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক ‘সমৃদ্ধি’ কার্যক্রমের সূচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই কার্যক্রমের সূচনা করে বলেন, আর্থিকভাবে মহিলাদের স্বাধীনতা প্রদানই সরকারের মূল লক্ষ্য। এদিন বিভিন্ন গ্রামীণ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য ১৯৮.৬৩ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ঋণ অনুমোদন এবং ১০০ কোটি টাকার কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফাণ্ডও প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহিলাদের স্বশক্তিকরণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। লাখপতি দিদি তৈরির লক্ষ্যমাত্রাও তিনিই স্থির করেছেন।আর আজ সেটাই বাস্তবায়িত হয়েছে।তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতি না হলে রাজ্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ৫৪,১৭০ টি স্বনির্ভর দল রয়েছে। গ্রামীণ সংগঠন রয়েছে প্রায় ২,৪৭১টি। এছাড়াও ক্লাস্টার স্টোর রয়েছে প্রায় ১৭৪টি। সবমিলিয়ে রাজ্যে এখন পর্যন্ত স্বনির্ভর দলগুলিতে প্রায় ৪,৮৬,০০০ জন মহিলা রয়েছেন। – প্রসঙ্গক্রমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের তৃতীয় পূর্ণ সাক্ষর রাজ্য হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য। শিক্ষা, আর্থ সামাজিক অবস্থা সহ সবদিক থেকে উন্নয়ন হচ্ছে ত্রিপুরায়। ২০১৮ সাল থেকে গ্রামীণ জীবিকা মিশনে কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রায় আটটি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে এ রাজ্য। এছাড়াও কাজের নিরিখে সেরা অবদান রাখার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলাও জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সচিব অভিষেক সিং, অর্থ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, নাবার্ডের জিএম অনিল এস কোটমায়ার, ত্রিপুরা স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের চেয়ারম্যান নাগাধিরাজ দত্ত, টিআরএলএমের সিইও তড়িৎ কান্তি চাকমা সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয় বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও জেলাশাসকদের।