অনলাইন প্রতিনিধি :-প্রশান্ত কিশোরের জনপ্রিয়তা কি তার দলের মধ্যেই কমছে?সূত্রের খবর, সাম্প্রতিককালের কিছু ঘটনায় পিকের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে তার দল জন সুরাজ পার্টির অন্দরে।
মোকামার ঘটনার পর থেকেই পিকের ভূমিকা নিয়ে কিছুটা ক্ষুব্ধ তার দলের কর্মীরা। মোকামায় আরজেডির একটি মিছিলের মধ্যে গুলীচালনার ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতোর। জানা যায়, যে ব্যক্তি – প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন সুরাজ পার্টির কর্মী।ঘটনার পরে বিজেপি এবং জেডিইউকে কড়া আক্রমণ করে বিরোধী দলগুলি। ঘটনায় আরজেডির হাত রয়েছে বলে আবার দাবি করেছে হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা নেতা জিতনরাম মাঝি।কিন্তু এত বড় ঘটনার পরেও নিহত ব্যক্তি যে দলের সদস্য সেই জন সুরাজ পার্টির নেতা প্রশান্ত কিশোর সেভাবে কোনও কথা বলেননি। কেন তিনি দলের কর্মীর হয়ে কোনো কথা বললেন না তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে তার দলের মধ্যে। জন সুরাজ পার্টি বিহারে নতুন এক দিশা দেখাতে পারে এই আশা নিয়েই যুব সম্প্রদায়ের অনেক ছেলেমেয়ে সক্রিয়ভাবে এই দলে নাম লেখান। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে প্রতি জেলায় পাঁচটি করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় এবং প্রত্যেক পঞ্চায়েতে একটি করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।কিন্তু মোকামার ঘটনার পরে পিকে যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তা নিয়ে ক্ষুব্ধ দলেরই বড় অংশ। জন সুরাজ পার্টির এমনই এক কর্মীর মন্তব্য, দলের একজন কর্মীকে হত্যা করা হল, তা নিয়ে এত তোলপাড় হয়ে গেল, কিন্তু দলের নেতাই চুপ? এটা তো আশা করিনি। প্রশান্ত কিশোর তো কিছু বলবেন। এমন মানুষের হাতে রাজ্যের ক্ষমতা কী সত্যি তুলে দেওয়া যায়। আমরা সকলেই হতাশ।একইভাবে এই ভোটের আবহেই সিওয়ান বিধানসভা কেন্দ্রে যেভাবে একজন পুলিশ আধিকারিককে গুলী করে হত্যা করা হয়েছে তা নিয়েও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একইভাবে এ নিয়েও টু শব্দটি করেননি প্রশান্ত কিশোর। এ নিয়েও ক্ষোভ বাড়ছে তার দলের মধ্যেই, এমনটাই সূত্রের খবর।দলের একাংশের মত, ভোট কাটা ছাড়া আর বিশেষ কিছু করতে পারবেন না পিকে।