ভেঙে পড়েছে টিএমসির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নেই নজরদারি!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার হাতেই রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ফলে তাঁর প্রায় প্রতিটি ভাষণেই শোনা যায় স্বাস্থ্য বিপ্লবের কথা।বাস্তবে সেই স্বাস্থ্যই ভয়ঙ্কর অস্বাস্থ্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।যা হাসপাতাল এবং তার আশপাশ এলাকায় ভয়ঙ্করভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে পচা বর্জ্যের দুর্গন্ধে আশপাশ এলাকার জনগণের নিঃশ্বাস নেওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।বাতাসে সেই দুর্গন্ধ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়াচ্ছে।মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
বিস্ময়কর ঘটনা হলো,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী হাসপাতালের বর্জ্য রাখার নির্ধারিত জায়গা এবং বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সেগুলো কঠোরভাবে পালন করতে হয়।নিয়মকানুন রয়েছে।সেগুলো কঠোরভাবে পালন করতে হয়।কিন্তু ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসব নিয়মকানুনের কোনও বালাই নেই।হাসপাতালের যাবতীয় বর্জ্য মেডিকেল কলেজের পেছনে একটি খালি এবং উন্মুক্ত জায়গার মধ্যে ফেলা হচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে।ওই জায়গাটি এখন রীতিমতো হাসপাতালের ডাম্পি গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে।বিশাল আবর্জনার স্তূপ।আর এখান থেকে নানা পশু পাখি বর্জ্য নিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে ফেলছে।এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি ওই এলাকার জনগণের।ঘটা করে এই রাজ্যে স্বচ্ছতা অভিযান চালানো হয়।নেতা-মন্ত্রী- জনপ্রতিনিধিরা ঝাড়ু হাতে বছরের একদিন ফটোসেশন করেন।কিন্তু ত্রিপুর মেডিকেল কলেজের ওই বর্জ্য স্বচ্ছতা অভিযানকে উপহাস করছে। বিস্ময়কর ঘটনা হলো, এলাকার মানুষ বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।কিন্তু মাথাভারী টিএমসি কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা.মানিক সাহা নিজেও এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করছেন।মাথাভারী এই কারণে যে, টিএমসির মাথায় এখন টুপির উপর পাগড়ি এবং পাগড়ির উপর পালক রয়েছে। সোসাইটি পরিচালিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান, সিইও এবং তিনজন ওএসডি রয়েছেন। ভারতবর্ষে সোসাইটি পরিচালিত আর কোনও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এতজন পদাধিকারী আছেন কিনা জানা নেই। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিমাসে এদের পেছনে খরচ হচ্ছে। বেতনের বাইরেও নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন এরা। গাড়ি ব্যবহার করছেন সেই গাড়ি পারিবারিক নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজ্যের শিক্ষিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন বেকারদের বঞ্চিত করে তিনজন অবসরপ্রাপ্ত বুড়োকে ওএসডি পদে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন আছেন পুলিশের। এদের কারো বয়স ৭০, কারো ৭৫ বছর। এরা কেউ মুখ্যমন্ত্রীর ডান হাত, কেউ বাম হাত। তৈলমর্দন করে কোষাগার ফাঁকা করছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এতজন লক্ষ টাকা বেতনভুক্ত পদাধিকারী থাকা সত্ত্বেও কোনও তদারকি নেই। হাসপাতালের পিছনে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলে পাহাড় গড়ে তুললেও, কেউ দেখার নেই। গোটা এলাকায় অস্বাস্থ্য পরিবেশ গড়ে তুলেছে টিএমসি কর্তৃপক্ষ। ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসব নিয়মকানুনের কোনও বালাই নেই। হাসপাতালের যাবতীয় বর্জ্য মেডিকেল কলেজের পেছনে একটি খালি এবং উন্মুক্ত জায়গার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই অবস্থা চলছে। ওই জায়গাটি এখন রীতিমতো হাসপাতালের ডাম্পি গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। বিশাল আবর্জনার স্তূপ। আর এখান থেকে নানা পশু পাখি বর্জ্য নিয়ে মানুষের বাড়ি ঘরে ফেলছে। এক দুর্বিষহ পরিস্থিতি ওই এলাকার জনগণের। ঘটা করে এই রাজ্যে স্বচ্ছতা অভিযান চালানো হয়। নেতা-মন্ত্রী- জনপ্রতিনিধিরা ঝাড়ু হাতে বছরের একদিন ফটোসেশন করেন। কিন্তু ত্রিপুর মেডিকেল কলেজের ওই বর্জ্য স্বচ্ছতা অভিযানকে উপহাস করছে। বিস্ময়কর ঘটনা হলো, এলাকার মানুষ বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু মাথাভারী টিএমসি কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহ নিজেও এই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করছেন। মাথাভারী এই কারণে যে, টিএমসির মাথায় এখন টুপির উপর পাগড়ি এবং পাগড়ির উপর পালক রয়েছে। সোসাইটি পরিচালিত ত্রিপুরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সিইও এবং তিনজন ওএসডি রয়েছেন। ভারতবর্ষে সোসাইটি পরিচালিত আর কোনও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এতজন পদাধিকারী আছেন কিনা জানা নেই। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিমাসে এদের পেছনে খরচ হচ্ছে। বেতনের বাইরেও নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন এরা। গাড়ি ব্যবহার করছেন সেই গাড়ি পারিবারিক নানা কাজে ব্যবহার হচ্ছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজ্যের শিক্ষিত এবং যোগ্যতা সম্পন্ন বেকারদের বঞ্চিত করে তিনজন অবসরপ্রাপ্ত বুড়োকে ওএসডি পদে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন আছেন পুলিশের। এদের কারো বয়স ৭০, কারো ৭৫ বছর। এরা কেউ মুখ্যমন্ত্রীর ডান হাত, কেউ বাম হাত। তৈলমর্দন করে কোষাগার ফাঁকা করছে। অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। এতজন লক্ষ টাকা বেতনভুক্ত পদাধিকারী থাকা সত্ত্বেও কোনও তদারকি নেই। হাসপাতালের পিছনে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলে পাহাড় গড়ে তুললেও, কেউ দেখার নেই। গোটা এলাকায় অস্বাস্থ্য পরিবেশ গড়ে তুলেছে টিএমসি কর্তৃপক্ষ।

Dainik Digital

Recent Posts

“যুদ্ধ বলিউড সিনেমা নয়’, বক্তা প্রাক্তন সেনাপ্রধান!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-যুদ্ধ কোনও বলিউডের সিনেমা নয়। যুদ্ধের আগে কূটনীতিকেই বেছে নিতে হবে। ৷ ভারত-পাকিস্তান…

9 hours ago

তৈরি আছে ভারত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার রাতে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।…

9 hours ago

পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কৃষি বিজ্ঞান সুবান্না আয়াপ্পানের রহস্যমৃত্যু,!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত কৃষি বিজ্ঞানী ৬৯ বছর বয়সি সুবান্না আয়াপ্পান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ…

19 hours ago

ব্যতিক্রমী সম্পর্কের খোঁজ!!

ছয় বৎসর পর পর ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে ছয় জড়াইয়াছে। একটি যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধ তৎপরতায় ময়দানে…

19 hours ago

রেশনে ডালের দাম বাড়ল পাঁচ টাকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের রেশনশপে একলাফে মশুরি ডালের মূল্য প্রতিকিলোতে ৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার।রেশনশপে…

20 hours ago

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কোহলি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলো বিরাট কোহলি।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখলো না।রোহিত…

20 hours ago