অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী গ্রন্থাগার বীরচন্দ্র রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার (BCSCL) এর বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত করুণ ও উদ্বেগজনক।পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার অভাব, বাগানের অযত্ন, নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা এবং আবর্জনার স্তূপ গোটা গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণকে আজ অস্বাস্থ্যকর ও অনাকর্ষণীয় পরিবেশে পরিণত করেছে।
গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণ ও বাগান পরিষ্কার করা আগরতলা মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (AMC) সহায়তার খুব সহজেই সম্ভব। কিন্তু অভিযোগ প্রধান গ্রন্থাগারিকের অনীহা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। উচ্চপদস্থ দপ্তর থেকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।
পরিচ্ছন্নতার এই দুরবস্থার একটি বড় কারণ হল, উচ্চশিক্ষা দপ্তর (DHE) sweeping ও cleaning কর্মীদের পরিষেবা গ্রন্থাগার থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এর ফলে গ্রন্থাগারের অভ্যন্তর ও বহিরাংশ দীর্ঘদিন ধরে অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে আছে। নিয়মিত ঝাড়ু দেওয়া, আবজনা অপসারণ, নিকাশি পরিষ্কার সবকিছুই কার্যত বন্ধ রয়েছে।
আরও জানা গেছে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা পরিষেবা পুনরায় চালু করার জন্য যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ছিল, সেটিও দীর্ঘদিন ধরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এই টেন্ডার প্রক্রিয়া শ্রম দপ্তরের মাধ্যমে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এর পেছনে কিছু ‘গোপন কারণ’ ও প্রশাসনিক জটিলতা রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেছেন, যার ফলে প্রক্রিয়াটি বিলম্বিত হচ্ছে।ফলে, রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাঠাগারটি এখন সাধারণ পাঠক ও গবেষকদের জন্য এক প্রকার অস্বাস্থ্যকর ও অস্বস্তিকর পরিবেশে পরিণত হয়েছে। ভেতরের নোংরা টয়লেট, আবর্জনায় ভরা বাগান, জলাবদ্ধ নিকাশি ও দুর্গন্ধে ভরা পরিবেশ গ্রন্থাগারের গৌরবকেও যেন ম্লান করে দিচ্ছে।সচেতন পাঠক মহল ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা উচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তাঁদের বক্তব্য, ‘এত ঐতিহ্যবাহী একটি রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার যদি এই অবস্থায় পড়ে থাকে, তবে এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।অবিলম্বে পদক্ষেপ নিয়ে পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য প্রশাসন ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন- দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বীরচন্দ্র রাজ্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারকে আবারও তার আগের গৌরবে ফিরিয়ে আনা হোক এবং ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ এর বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা নেওয়া হোক।