অনলাইন প্রতিনিধি :-গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে ত্রয়োদশ রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী নতুন বছরের প্রথম বিধানসভা অধিবেশন রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে শুরু হয়।এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।এবার বিধানসভার কার্যকাল ছিলো পাঁচদিনের।এই পাঁচদিনে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে বিস্তর আলোচনা হয়েছে।শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে নানা ইস্যুতে বিতর্ক হয়েছে।সংসদীয় গণতন্ত্রের এটাই নিয়ম এবং বৈশিষ্ট্য।এই পর্যন্ত সবই ঠিক আছে।কিন্তু এবার বিধানসভায় সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে বিরোধী দলগুলির ভূমিকা। যা রীতিমতো আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। কেননা,বিধানসভায় বিরোধীদের এতটা শান্ত এবং নিষ্প্রভ এর আগে তেমনটা দেখা যায়নি।বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্ক হয়েছে, মাঝে মাঝে সভা খানিকটা উত্তপ্ত হয়েছে ঠিকই,কিন্তু কাউকে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি।শুধু তাই নয়,বিরোধী দলগুলির মধ্যে সমন্বয় এবং ঐক্যের ভাবও লক্ষ্য করা যায়নি।বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকার
পক্ষকে চেপে ধরার ক্ষেত্রেও অনৈক্যের ছবি ভেসে উঠেছে। যা রাজ্য রাজনীতির ক্ষেত্রে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।বর্তমানে রাজ্য বিধানসভায় বিরোধী দলের সংখ্যা তিন।এরা হলো তিপ্রা মথা,সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেস।তিন দলের বিধায়ক সংখ্যা মোট ২৬ জন।এরমধ্যে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথার ১৩ জন, সিপিআই(এম)-এর ১০ জন এবং কংগ্রেস দলের ৩ জন। ৬০ সদস্যের বিধানসভায় বিরোধী দলের ২৬ জন বিধায়ক। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়।জনস্বার্থমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ২৬ জন এক সুরে কথা বললে,এক হয়ে সরব হলে,সরকার পক্ষের উপর কতটা চাপ তৈরি হতো- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।কিন্তু এবার বিধানসভায় এমন দৃশ্য একেবারেই উধাও বলা চলে। কোনও ইস্যুতে এবার একসাথে তিন বিরোধী দলকে সরব হতে দেখা যায়নি।আগের বিধানসভা অধিবেশনে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথাকে যতটা আক্রমণাত্মক এবং সরব হতে দেখা গেছে, এবার তার ছিটেফোঁটাও নেই।প্রধান বিরোধী দলকে দেখা গেল এবার একেবারে নতুন ভূমিকায়।এবার আর সরাসরি সরকারকে সমালোচনার কাঠগড়ায় তুলতে দেখা যায়নি।অনেকটা নমনীয় ভূমিকায় গঠনমূলক অবস্থানে দেখা গেল প্রধান বিরোধী দলকে।যাকে বলে গঠনমূলক সমালোচনা।যার মধ্যে কোনও ধার ছিলো না।সিপিএম পরিষদীয় নেতা বিধায়ক জিতেন চৌধুরীকে মাঝে মধ্যে কয়েকটি ইস্যুতে সরব হতে দেখা গেলেও, বামেদের সমর্থনে তিপ্রা মথা এবং কংগ্রেসকে সরব হতে দেখা যায়নি।তেমনি মথার পক্ষেও সিপিএম-কংগ্রেসকে এককাট্টা হতে দেখা যায়নি। প্রত্যেকেই বিধানসভায় ছিলো স্বতন্ত্র অবস্থানে।কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকেও দেখা গেলো এবার অন্য ভূমিকায়।রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা থেকে শুরু করে অন্য কয়েকটি ইস্যুতে তিনি কথা বললেও,তাকে আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা যায়নি। যতটুকু না বললে,নাই বলে, ঠিক ততটাই বলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এ নিয়ে চর্চা চলছে।সামনে লোকসভা নির্বাচন। এর আগে বিধানসভায় বিরোধীদের এমন ছন্নছাড়া অবস্থা এবং নিষ্প্রভ কেন?বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজ্য রাজনৈতিক মহল।তবে কি রাজ্যেও বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরেছে?
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…