অনলাইন প্রতিনিধি :-ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।দলের ঘড়ছাড়া কর্মীদের নিয়ে রাজভবনে যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখেও পড়তে হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।এবার বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ,গোটা দেশের সব রাজ্যে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটলেও একমাত্র বাংলায় অশান্তির ঘটনা ঘটেছে।আর তাই লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের এগারো দিন পরে বাংলায় বিশেষ প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে,দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।তারাই বাংলায় গিয়ে হিংসার কারণ অনুসন্ধান করবেন।আর সেই দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব দেবকে।এছাড়া থাকছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন ডিজিপি ও বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ ব্রিজলাল এবং মধ্যপ্রদেশের রাজ্যসভা সাংসদ কবিতা পাতিদার। প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই চার সদস্যের কমিটি পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ।
ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে রাজ্যের তৃণমূল শাসিত সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।কলকাতার মাহেশ্বরী ভবনে বিজেপির ঘরছাড়া কর্মীদের সঙ্গে দেখাও করেন রাজ্যপাল। তিনি হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়েছেন,এমন চলতে থাকলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না। এবার এই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির বিশেষ প্রতিনিধি দল।শীঘ্রই ওই প্রতিনিধি দল বাংলা সফরে আসছেন।’সন্ত্রাস কবলিত’ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবেন তারা। কথা বলবেন ‘আক্রান্ত’দের সঙ্গে।বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও তারা বৈঠক করবেন।রাজ্যপালের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।এরপর দিল্লীতে ফিরে ওই কমিটি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট দেবে।
বিজেপির ওই প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লোকসভা ভোেট ছাড়াও চার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে।তার মধ্যে কয়েকটিতে ক্ষমতার বদলও হয়েছে।কিন্তু শুধু বাংলা ছাড়া কোথাও কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি। এই পরিস্থিতি নজরে রেখেই চার সদস্যের কমিটিকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জে পি নাড্ডা। বিজেপির তরফে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘লোকসভা ভোটের পরে রাজ্যে যে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে,তাতে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ছায়া দেখা যাচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন।অথচ তারই দলের দুষ্কৃতীরা বিরোধী দলের কর্মী এবং ভোটারদের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।’এবার বাংলায় লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। সপ্তম দফার ভোট পর্বের শেষে সে কথা জানান খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। বিজেপির দাবি, ভোট শেষের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার শিকার হচ্ছেন দলীয় কর্মীরা।জখম হয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক,ঘরছাড়া বেশ কয়েকজন।আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গেলেও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে তাকে ফিরে যেতে হয়। শুক্রবার যদিও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আক্রান্তদের নিয়ে শুভেন্দুর রাজভবনে যাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবায় ধারাবাহিক বিঘ্ন ঘটায় জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। ঘনঘন…
পাকিস্তানের সহিত যুদ্ধ বিরতি লইয়া ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে এই সময়ে তোলপাড় চলিতেছে।যদিও একাংশ সংবাদ মাধ্যম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল জিবিতে রোগীর যন্ত্রণার শেষ নেই।হাসপাতালে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়েও রোগীকে প্রচণ্ড…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভুল করে’ সীমান্ত পার করে পাক সীমান্তে ঢুকে পড়েছিলেন ভারতের বিএসএফ জওয়ান পূর্ণম…
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের হাপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের আদর্শে পরিচালিত শ্রীমতী ব্রহ্মদেবী সরস্বতী বালিকা বিদ্যামন্দির…
অনলাইন প্রতিনিধি :-বৈঠকে বসছে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সকাল ১১টায় বৈঠকে…