অনলাইন প্রতিনিধি :- দল ক্ষমতায় থাকলেও ধনপুর এবং বক্সনগর কেন্দ্রে উপনির্বাচন সহজ হবে না শাসকের পক্ষে। এখন পর্যন্ত যে আভাষ পাওয়া গেছে, তাতে উপনির্বাচনে শাসকদলকে রীতিমতো কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হতে পারে। শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তিপ্রা মথার বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মার উপনির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে যে পরিস্থিতি ছিল, উপনির্বাচনে যেন সেই পরিস্থিতি না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই দল ভাবনা চিন্তা করছে। অনিমেষবাবু স্পষ্টভাবে বলেন, আমরা চাই না শাসক বিরোধী ভোট কোনওভাবেই বিভক্ত হোক। বিধানসভা নির্বাচন থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। আমরা চাই একটা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সহমতের ভিত্তিতে প্রার্থী নির্বাচন করতে। তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে আমরা মূলত শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কিন্তু কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে ভোট বিভাজনের সুযোগ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছে। উপনির্বাচনে যাতে এই পরিস্থিতি না হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এই ব্যাপারে তিনি ধনপুর কেন্দ্রের কথাও উল্লেখ করেন। তবে আগামী ১৩ আগষ্ট এই ব্যাপারে দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বিরোধী নেতা অনিমেষ দেববর্মা।তার বক্তব্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে তিপ্ৰা মথা-সিপিএম-কংগ্রেস, এই তিন দলের সম্মিলিত প্রার্থী হোক ধনপুর ও বক্সনগর কেন্দ্রে। এমনটাই তারা চাইছেন। শুধু তাই নয়, রাজ্য রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথা যে কৌশলী অবস্থান নিতে চলেছে, সেটাও স্পষ্ট হয়েছে অনিমেষবাবুর বক্তব্যে। ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে তেরো আসনে জয়ী হয়ে তিপ্ৰা মথা রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের তকমা হাসিল করলেও, আগের শক্তি এখন আর নেই। গ্রেটার তিপ্রাল্যাণ্ডের আবেগও এখন তলানিতে। তাই উপনির্বাচনে কৌশলী অবস্থানের কথা শোনা গেল বিরোধী নেতার মুখে। অপর দুই বিরোধী দল সিপিএম এবং কংগ্রেস কি করবে, সেটা এখনও স্পষ্ট হয়নি। তবে সাংগঠনিক শক্তির বিচারে ধনপুর এবং বক্সনগরে সিপিএম অনেকটাই শক্তিশালী। এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। ওই দুই কেন্দ্রে কংগ্রেসের শক্তি শূন্যই বলা যায়। ফলে ওই দুই কেন্দ্রে কংগ্রেস দল প্রার্থী না দিয়ে সিপিএম প্রার্থীকেই সমর্থন করবে। এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অনিমেষবাবুর বক্তব্য যদি শেষ পর্যন্ত একই থাকে, তাহলে ধনপুর কেন্দ্রে মথাও লড়াই করবে না। তাহলে লড়াই হবে দ্বিমুখী এবং সেই লড়াই হবে জম্পেস। এক্ষেত্রে শাসক দল বিজেপিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। একদিকে ধনপুরের জয় ধরে রাখা, অন্যদিকে বক্সনগর সিপিএমের কাছ থেকে ছিনিয়ে আনা। মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার কাছেও এই উপনির্বাচন একটি বড় পরীক্ষা এরপরই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন।এদিকে, দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন নিয়ে রণকৌশল ঠিক করতে শুক্রবার বিজেপি প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সোনামুড়া টাউন হলে সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় শাসক দলের। বৈঠকে সিপাহিজলা জেলার বিজেপি নেতৃত্ব, দুই কেন্দ্রের নেতৃত্ব এবং রাজ্য সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…