অনলাইন প্রতিনিধি :-রুদ্রসাগরে নৌকা বাইচ উৎসবের উদ্বোধনে এসে বিকশিত ভারতের পথে অগ্রসরমাণ ত্রিপুরার ছবি তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরার বনভূমি,নদী-নালা,জনজাতিদের সংস্কৃতি তুলে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রগুলি ছাড়াও ত্রিপুরায় অনেক ধর্মীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে।
রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্থানে লগ হাট তৈরি করেছে। স্বদেশ দর্শন প্রকল্পে দশটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে।প্রসাদ প্রকল্পে ত্রিপুরার মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে গেছে। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী এর উদ্বোধন করবেন। ৫১ কোটি টাকা পেয়ে এ শক্তি পীঠের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পঞ্চায়েতেরাজ্য সাতটি স্তরে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে।রাজ্য যে ভালো চলছে এটাই তার প্রমাণ।
ত্রিপুরায় গত বছরে ৮০ হাজারের মতো বিদেশী পর্যটক এসেছে। রাজ্যস্তরের পর্যটক ৬ লক্ষ ৫২ হাজারের উপরে। দেশ বিদেশ থেকে আরো বহু পর্যটক আসবে। ত্রিপুরা পর্যটন দপ্তর,তথ্য
সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর আবাল বৃদ্ধ বনিতে আসছে।পর্যটন দপ্তর স্বদেশদর্শন প্রকল্পে রাজঘাটকে যাতে আরো সুন্দর
করা যায়, এই পর্যটন কেন্দ্রের স্মার্টনেস কেন থাকবে না এই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, স্মার্টনেস থাকতে হবে। এ সরকার মানুষের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। এ সরকার ঠিকভাবে চলছে, নর্থইস্ট জোনে হায়েস্ট স্থানে রয়েছে, জিডিপিতে আমামের পরেই আমাদের স্থান। দোল
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে বিগত সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সে সব সরকার কেবলমাত্র সব কিছুতেই রাজনীতি খুঁজতো। মেলা তো নয় যেন ছিলো রাজনীতির আসর। কিন্তু আমরা মানুষের জীবনের কথা শুনতে চাই। জীবনের কথা মানুষকে শোনাতে চাই। আজ কোনো উৎসবকে পার্টির উৎসব বলে মনে হয় না। ৩৫ বছর এবং পাঁচ বছরের দুটি সরকারের সময়কালে সবকিছুতেই রাজনীতির ছোঁয়া ছিলো সংস্কৃতির নামে কি হতো তা সকলেই জানেন। আমরা সুস্থ সংস্কৃতির পরিবেশি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারত ২০৪৭ সালে কোথায় যাবে তার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় স্বাগত ভাষণ দেন সিপাহিজলা জেলার জেলা সমাহর্তা সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল। তিনি বলেন, মেলাঘর ত্রিপুরার সবচেয়ে পুরানো শহর। ১৯৩০ সালের নীরমহল গড়ে উঠে। ভারতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওয়াটার প্যালেস। পর্যটনকে আকর্ষণ করে তোলার ক্ষেত্রে রুদ্রসাগর অন্যতম। এর জলস্তর ধরে রাখার জন্য রামসা সাইটের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই মেলাঘরে রয়েছে রাজ্যের বৃহত্তম রথের মেলা, পাগলী মাসি মন্দির, এছাড়া রয়েছে মনসামঙ্গল, যা গ্রামীণ লোকসংস্কৃতির বাহক। রয়েছে অদ্বৈত মল্লবর্মণ মেলা উৎসব এক মিশ্র সংস্কৃতির মেলবন্ধনের মেলাঘর রাজ্য পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রচুর লোক আসে। মেলাঘরে এ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে ১২ কোটি টাকা, এবং ১১ কোটি টাকার দুটি প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে, মধুপুর থেকে সীমান্তপুর পর্যন্ত হাইওয়ে এই মেলাঘরের উপর দিয়ে গেছে।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাধিপতি – সুপ্রিয়া দাস দত্ত।এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী কিশোর বর্মণ, বিধায়ক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।