বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গোটা গোমতী জেলা জুড়ে এখন কৃষক ও কৃষকদের পরিবারে চরম ব্যস্ততা চলছে। বলতে গেলে নাওয়া খাওয়ার সময় নেই। দিনরাত এখন জমিতে ধান কাটার এবং ধান ঝারাই করে সেনালী ফসল তোলার ধুম পড়েছে।ফলে কৃষকদের মুখে এখন চড়া হাসি। মাঠজুড়ে সবুজের বদলে সোনালি ধানের সমারোহ। জমিতে চলছে ফসল কাটা, আর মাঠে গেলেই চোখে পড়ছে সারিবদ্ধভাবে ধান বয়ে আনা কৃষকদের কর্মব্যস্ততা। তীব্র রোদে একাধারে ঝরছে ঘাম, তবু কারও মুখে নেই বিরক্তির ছাপ, বরং পরিশ্রমের মাঝেই ফুটে উঠছে সন্তুষ্টির হাসি।


ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে। আধুনিক মেশিন ব্যবহারের ফলে সময় যেমন কম লাগছে, তেমনই পরিশ্রমও অনেকটা হ্রাস পাচ্ছে। ধান মাড়াইয়ের পর গ্রামীণ এলাকাগুলিতে চলছে ধান সিদ্ধ করার কাজ। সিদ্ধ ধান এরপর গোবর দিয়ে লেপা মাটির উঠোনে রোদে শুকানো হচ্ছে গ্রামবাংলার চিরাচরিত পদ্ধতিতে।


গোমতী জেলার অন্তর্গত উদয়পুর মহকুমার ২ নম্বর ফুলকুমারী গ্রামের কৃষক অর্জুন শীল জানান, এবছর তিনি এক কানি পাঁচ গন্ডা কৃষিজমিতে ধান রোপণ করেন এবং ফলন হয়েছে প্রায় বাইশ মন। তাঁর কথায়, “অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। তাই আমরা খুশি।”
কৃষকদের এই খুশির পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।কৃষি দপ্তর থেকে সময়মতো সার ও বীজ পাওয়ায় চাষে বিশেষ সুবিধা হয়েছে।পাশাপাশি এবছর আবহাওয়াও ধানের পক্ষে অনুকূল থাকায় ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত কৃষকদের। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সরকারি সহায়তা এবং প্রকৃতির সদয় ভূমিকা, সব মিলিয়ে এবছর ধান চাষে সাফল্য এসেছে।রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কৃষি প্রকল্পও কৃষকদের আর্থিক উন্নতিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে জানান চাষিরা। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে ধান বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ার আশাও করছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে এবছর উদয়পুর মহকুমার গ্রামাঞ্চলে ধান কাটার মরশুম যেন কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

Dainik Digital: