অনলাইন প্রতিনিধি :-একদিকে আর্থিক সংকট অপরদিকে শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রেকর্ড ফলাফল করলো দিব্যাঙ্গজন কিশোরী। পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস বাবা। পেশায় বাবা একজন দিনমজুর। কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে থাকেন আর কাজ না থাকলে ই-রিক্সাও চালান।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘরে রাত্রি যাপন করে দিনরাত অদম্য প্রয়াসে পড়াশোনা করে দিব্যাঙ্গজন এই কিশোরী ৫৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিকে প্রত্যেকের নজর কেড়েছে।তার নাম নিশা পাল পিতা বাপ্পি পাল ও মা ঝুমা পাল। বাড়ি উত্তর ত্রিপুরা জেলার যুবরাজ নগর বিধানসভার পূর্ব রাধাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায়। নিশার শারীরিক উচ্চতা মাত্র দুই ফুট দুই ইঞ্চি। হাত গুলোও খুবই সরু।ভালো করে কলম ধরতেও তার সমস্যা হয় কৃষ্ণপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবছর তার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল।
স্কুলে যখন গিয়ে বেঞ্চে বসে বেঞ্চের উচ্চতার জন্য লিখতেও তার সমস্যা হয়। কাপড় পড়া থেকে প্রাকৃতিক কাজের জন্য কোনোকিছুই একা করতে পারে না। সবকাজেই মা। ছোট থেকে মা ই তার সম্বল। তার এই রেজাল্টের ঘটনা চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সবাই খুশির জোয়ারে ভাসছে।