দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় থানায় লিখিত মামলা দায়ের করার পর চারদিন অতিক্রান্ত হতে চললেও মামলা নথিভুক্ত করতে গড়িমসি করছে নূতনবাজার থানার পুলিশবাবুরা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার ফলে অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে থাকলেও নির্যাতিতা গৃহবধূ বিশালগড়স্থিত বাপের বাড়িতে অসহায়ভাবে দিন কাটাচ্ছেন। পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে নির্যাতিতা গৃহবধূ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। উল্লেখ্য, শ্বশুরবাড়ির লোকেদের হাতে আক্রান্ত গৃহবধূ পায়েল দেবনাথ গত শনিবার নূতনবাজার থানায় স্বামী গৌতম দেবনাথ,ভাসুর প্রবীর দেবনাথ,জা মরণী দেবনাথ ও ননদের জামাই পেশায় শিক্ষক উত্তম দেবনাথের নামে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা সকলেই নূতনবাজার থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত বাঙালি পাড়ার বাসিন্দা।অভিযুক্ত স্বামী প্রতিদিন থানার নাকের ডগায় কাপড় দোকানে ব্যবসা করছে।এখন প্রশ্ন হলো, এক গৃহবধূর কাছ থেকে প্রাণে মেরে ফেলার মতো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। নির্যাতিতা গৃহবধূ অভিযোগ করেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন মোটা দাগের টাকা দিয়ে থানা ম্যানেজ করে রেখেছে।গৃহবধূ পায়েল দেবনাথ জানান, তাদের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু তাদের একটি কন্যাসন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে ভাসুর ও ননদের জামাইয়ের ইন্ধনে স্বামী তার উপর অত্যাচার শুরু করে। প্রায়দিনই স্বামী, ভাসুর, জা ও ননদের জামাই তাকে মারধর করে বলে সে জানায়।গত বছরখানেক আগে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পায়েল তার বিশালগড়স্থিত বাপের বাড়িতে চলে যায়।প্রায় এক বছর বাপের বাড়িতে থাকার পর মাসখানেক আগে শ্বশুরবাড়িতে এলে পায়েলের উপর আবার নির্যাতন শুরু হয় বলে অভিযোগ।গত শুক্রবার রাতে গৃহবধূ পায়েলকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশে ভয়াবহ আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।স্বামী গৌতম দেবনাথ শাবল নিয়ে তার উপর আক্রমণ চালায়।শাবলের আঘাতে মাথা ফেটে যায়।রক্তাক্ত অবস্থায় গৃহবধূ পায়েল দেবনাথ নূতনবাজার থানার দ্বারস্থ হলে পুলিশ তাকে নূতনবাজার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করায়।প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত গৃহবধূ তার স্বামীসহ চারজনের নামে নূতনবাজার থানায় লিখিত মামলা দায়ের করে বিশালগড় বাপের বাড়ি চলে যায় ৷মামলা দায়ের করে যাওয়ার পর থেকে গৃহবধূটি প্রতিদিন থানায় ফোন করে মামলার গতিপ্রকৃতি জানতে চাইলে পুলিশের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর পাচ্ছেন না।এদিকে থানায় খবর নিয়ে জানা যায়, মামলাটি নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। মঙ্গলবারের মধ্যে মামলা নথিভুক্ত করে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেওয়া হবে বলে এক পুলিশবাবু জানান।এখন প্রশ্ন হলো বধূ নির্যাতনের ঘটনার মামলা নথিভুক্ত করতে পুলিশের এত গড়িমসি কেন? অভিযুক্তদের পালিয়ে যেতে সুযোগ করে দেওয়ার জন্যই কি পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করতে টালবাহানা করছে?
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…