সমাজকল্যাণ দপ্তরে চরম অচলাবস্থা তৈরী হয়েছে। অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে এসে শিশু ও নারী কল্যাণ প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। সমাজকল্যাণ দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের যে টাকা তা গত অর্থবর্ষেও খুব কম পরিমাণে ঢুকেছে আবার অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে এসে কোনও হোমই টাকাপয়সা পায়নি। ফলে সরকারী বা বেসরকারী সব হোমে এই সময়ে ত্রাহি অবস্থা।প্রসঙ্গত, পুলিশ, আদালত, স্থানীয় প্রশাসন, শিশু কল্যাণ বা নারীকল্যাণে যুক্ত কোনও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান দু:স্থ শিশু ও মহিলাদের হোমগুলিতে পাঠিয়ে থাকে। সেইসব হোমের সংখ্যা একদিকে দিনে দিনে যেমন কমছে তেমনি এইবার তাদের অনুদানও অনিয়মিত হচ্ছে। জানা গেছে, নতুন মন্ত্রিসভা শপথ গ্রহণের পর দপ্তরে প্রায় নব্বই শতাংশ কর্মচারী বদলি হয়ে গেছে। সব চেয়ারেই নতুন লোকজন এসে বসেছেন। দপ্তরের ওয়েবসাইটে যাদের নাম, ফোন নম্বর রয়েছে সেই তালিকার ডেপুটি ডিরেক্টর বিজন চক্রবর্তী, অরুণ দেববর্মা, যুগ্ম অধিকর্তা সুব্রত দত্ত কেউই শিশু ও নারী কল্যাণের প্রকল্পের বিষয় বলতে পারছেন না। কারণ তারা এই বিষয়টি দেখছেন না। যুগ্ম সচিব সুব্রত দত্ত জানালেন, তিনি এখন আর দপ্তরেই বলছেন না। বসছেন মহিলা কমিশনে। দপ্তর সূত্রের খবর অনুযায়ী নতুন মন্ত্রী আসার পর খোলনলচে পরিবর্তন হয়েছে। সম্প্রতি অধিকর্তার দায়িত্বে বসেছেন শ্রীমতী সুমিতা সেন। বসেই সবগুলি বিষয় তিনি কতটা অবগত হয়েছেন, এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কারণ তিনি ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, এমন হবার কথা নয়। অনুদান প্রদানে নতুন ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে
কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা সব জানা যাচ্ছে। শ্রীমতী সেনের বক্তব্যের সঙ্গে হোমগুলির বক্তব্যের মিল পাওয়া যায় না।
প্রসঙ্গত, দপ্তরের পরিচালিত দুটি হোম যোগেন্দ্রনগরে এবং মোহনপুর তারানগরে দুটোই এই সময়ে বন্ধ। ফলে বাকি তিনটি হোমের উপর চাপ বাড়ছে। এই হোমগুলিতে গড়ে আবাসিকের সংখ্যা ত্রিশ। সরকারী ভাবে দু:স্থ মেয়ে ও শিশুদের হোমগুলির নাম পরিবর্তন হয়েছে। সেন্টার হোম থেকে স্বাধার গৃহ, এখন আবার শক্তিসদন। বারবার নাম বদল হলেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির আকার আয়তনে পরিবর্তন কমই হয়েছে। অপরদিকে হোমগুলিতে যে মেয়েদের পাঠানো হচ্ছে এদের অনেকে রয়েছে মানসিক অসুখের শিকার বা অবসাদগ্রস্ত। আবার ইদানিং কম বয়সি মেয়েদেরও হোমে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু সরকারী প্রকল্পগুলিতে এদের সুযোগ সুবিধার কথা নতুন করে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে এমন ছাপ কোথাও নেই। হোম যারা চালান তাদের মতে, বিভাগে গণবদলি এবং দপ্তরের কাজকর্মে নতুনদের অনভিজ্ঞতার কারণেই টাকাপয়সা ঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২২ সালে তারা তাদের বরাদ্দের অর্ধেক পেয়েছেন আবার ২০২৩-এর মার্চ চলে গেলেও তাদের বরাদ্দ এসে পৌঁছায়নি।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…