অনলাইন প্রতিনিধি:- রাজ্য সরকারের ট্রান্সফার ইস্যু নিয়ে সরকারী কর্মচারী মহলে দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে আগরতলা ও আশপাশের এলাকায় যারা চাকরি করে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ এখন ছড়িয়ে পড়েছে জেলা ও মহকুমাস্তরের কর্মীদের মধ্যে।
রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত অসংখ্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিযোগ করেছে একই শহরে এক দশক ধরে অনেকে চাকরি করছে অথচ গ্রামের বা দুর্গম এলাকার কর্মচারীদের প্রতি কোনো সহানুভূতি নেই।সাম্প্রতিক ট্রান্সফার ইস্যুতে প্রশাসনের অসামঞ্জস্য আচরণে অসন্তোষ আরও প্রকট হয়েছে। চাকরির নির্দেশিকায় উল্লেখ রয়েছে, প্রত্যেক কর্মচারীকে রাজ্যের যে কোনো স্থানে কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে রাজধানীর গোর্খাবস্তি, সচিবালয় কিংবা শহর সংলগ্ন এলাকার কিছু অফিসে বহু বছর ধরে একই মুখ দেখা যাচ্ছে। তাদের ট্রান্সফার হচ্ছে না। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মহকুমা ও জেলায় কর্মরত কর্মীরা। এক সিনিয়র কর্মচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চাকরির অফার লেটারে লেখা থাকে- ত্রিপুরা রাজ্যের যে কোনও স্থানে কাজ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ওই শর্ত কিছু মানুষের জন্য প্রযোজ্য নয়। চাকরিজীবীদের একাংশের অভিযোগ, অফিসের উচ্চ পর্যায়ে যোগসাজশ বা রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় কিছু কর্মচারীকে নিয়মিত বদলির বাইরে রাখা হয়। ফলে মাঠ পর্যায়ে যারা সীমান্তবর্তী বা দুর্গম অঞ্চলে কাজ করছে তাদের মধ্যে বঞ্চনার অনুভূতি প্রবল হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর ত্রিপুরা, ধলাই ও দক্ষিণ জেলার প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে কর্মরত সরকারী কর্মচারীরা বারবার দাবি তুলেছে বদলির ক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের মধ্যে একদল সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে যারা রাজধানী ঘেঁষা এলাকাতেই দীর্ঘকাল কর্মরত থেকে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে ট্রান্সফার নীতি প্রয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে গুঞ্জন নীতিগতভাবে সরকার ট্রান্সফার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও দপ্তরীয় পর্যায়ের স্বজনপোষণ সেই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে। রাজ্য সরকারের প্রতি কর্মচারী মহলের দাবি, ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ ট্রান্সফার নীতি যেন কাগজে নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হয়।