অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের প্রধান সরকারী রেফারেল হাসপাতাল জিবির ট্রমা কেয়ার সেন্টারের চিকিৎসা পরিকাঠামো ও চিকিৎসা পরিষেবার বেহাল দশা ক্রমেই বাড়ছে।স্বাস্থ্য দপ্তর ও জিবি হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের নির্বিকার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।ট্রমা কেয়ার সেন্টার মূলত সড়ক দুর্ঘটনা সহ নানা দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সঠিক উপায়ে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য চালু করা হয়।২০১৭ সালের প্রথম দিকে বামফ্রন্ট সরকারের সময় ট্রমা সেন্টারটি চালু হয়।তখন যে ধরনের চিকিৎসা পরিকাঠামো তৈরি করে ট্রমা সেন্টার চালু করা হয়েছিল,সেই চিকিৎসা পরিকাঠামোর আর কোন উন্নতি ও আধুনিকীকরণ করা হয়নি।
সেই কারণে চিকিৎসা পরিষেবায় তার প্রভাব পড়ছে।এমনটাই অভিযোগ করছেন রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজন।বর্তমান সরকারের আমলে চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও জিবির ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা পরিকাঠামো সম্প্রসারণ করে উন্নত ও আরও আধুনিক করার কাজে হাত পড়েনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এই দাবি করছেন।ট্রমা সেন্টারের রেড জোনে দুর্ঘটনায় গুরুতর ও সঙ্কটজনক রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়।জানা
গেছে,রেড জোনে সাত বেডের (শয্যা)আইসিইউ থাকলেও আইসিইউতে যে ধরনের চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা থাকার কথা তার পুরো ব্যবস্থা নেই।বিস্ময়কর ব্যাপার হলো আইসিইউ-তে ভেন্টিলেটর গত প্রায় এক মাস ধরে কাজ করছে না। ভেন্টিলেটর অচল হয়ে পড়ে রয়েছে।খুব গুরুতর ও সঙ্কটাপন্ন রোগীকে কোন কোন সময় ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দিতে হয়।অথচ ট্রমার মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার জায়গায়
ভেন্টিলেটর অচল হয়ে থাকায় ট্রমার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেন আইসিইউতে ভেন্টিলেটর অচল বা কাজ করছে না- শুক্রবার রাতে সেই বিষয়ে হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডা. শংকর চক্রবর্তীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ট্রমার ভেন্টিলেটর অচল বা কাজ করছে না এই ধরনের কোন রিপোর্ট তার কাছে নেই। ভেন্টিলেটর অচল বা কাজ করছে না হাসপাতাল সুপার তা জানেন না বললেও হাসপাতালের চিকিৎসকরাই বলছেন ভেন্টিলেটর গত এক মাস ধরে কাজ করছে না। ট্রমার চিকিৎসা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।ট্রমার নিজস্ব অপারেশন থিয়েটার থাকলেও তা চালু নেই বন্ধ। রোগীরা গজ, তুলা, ব্যাণ্ডেজ ট্রমা সেন্টারে পাচ্ছেন না। ওষুধের দোকান থেকে কিনে আনতে হচ্ছে।কোন কোন রোগীর প্রেসক্রিপশনের সিংহভাগ ওষুধই ট্রমাতে মিলছে না বলে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ।চিকিৎসা সামগ্রীরও সংকট চলছে ট্রমাতে।ওষুধের দোকান থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র চিকিৎসক সর্বক্ষণ ট্রমাতে থাকার নিয়ম থাকলেও তাও মানা হচ্ছে না।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে ট্রমা থেকে অনকলে ডেকে আনা হচ্ছে। তাতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ট্রমাতে পৌঁছতে অনেক বিলম্ব হওয়ায় রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা ভীষণভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলেও রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ। ২০১৬ সালে ডা. ভাস্কর মজুমদারকে ট্রমার নোডাল অফিসার হিসাবে বহিঃরাজ্যে নিয়ে ট্রমা সেন্টার কীভাবে পরিচালনা করতে হবে ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা হয়েছিল।
কিন্তু নোডাল অফিসারেরও ট্রমা সেন্টারের দিকে কোন নজর নেই।ট্রমাতে তিনি নিয়মিত আসেন না বলেও অভিযোগ।ফলে ট্রমার চিকিৎসা ব্যবস্থা দিনদিন তলানিতে চলে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অনলাইন প্রতিনিধি :-যুদ্ধ কোনও বলিউডের সিনেমা নয়। যুদ্ধের আগে কূটনীতিকেই বেছে নিতে হবে। ৷ ভারত-পাকিস্তান…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সোমবার রাতে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।…
অনলাইন প্রতিনিধি :-পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত কৃষি বিজ্ঞানী ৬৯ বছর বয়সি সুবান্না আয়াপ্পান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ…
ছয় বৎসর পর পর ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে ছয় জড়াইয়াছে। একটি যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধ তৎপরতায় ময়দানে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের রেশনশপে একলাফে মশুরি ডালের মূল্য প্রতিকিলোতে ৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার।রেশনশপে…
অনলাইন প্রতিনিধি :-টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলো বিরাট কোহলি।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখলো না।রোহিত…