টি-টেট পরীক্ষার ফলাফলে রাজ্যের মান তলানিতে : ক্ষোভ।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :- রাজ্যে এক বছরের মধ্যেই টেট পরীক্ষায় পাসের হার তলানিতে ঠেকেছে। টি-টেট পরীক্ষার ফলাফলের করুণ পরিণতি দেখে নানা প্রশ্ন উঠেছে। মাত্র এক বছরের মধ্যে কীভাবে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের মেধা তলানিতে নেমে গেলো। এ নিয়ে ডিএলএড, বিএড এবং এমএড উত্তীর্ণ বেকারদের পক্ষে ত্রিপুরা টিচার্স রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। এমনকী ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক অধ্যাপিকা সহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা পর্যন্ত নানা প্রশ্ন তোলছেন। ফলে এক প্রকার কাঠগড়ায় টিআরবিটি কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।টিআরবিটি সূত্রে খবর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত টি-টেট পরীক্ষায় প্রায় ৩ হাজার ৬৭৮ জন রাজ্যের বেকার যুবক যুবতী উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে টেট – ১ পরীক্ষায় ১ হাজার ২৪ জন পাস করে এবং টেট – ২ পরীক্ষায় ২৬৫৮ জন পাস করে। এমনকি বিধানসভা নির্বাচনের আগে টেট উত্তীর্ণ প্রায় ৩৬৭৮ জন রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের একসাথে সরকারী স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা পদে চাকরিও দেওয়া হয়। মাত্র এক বছরের মধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। যদিও একসাথে টেট উত্তীর্ণ বেকারের চাকরির দাবিতে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন প্রায় প্রত্যেক দিন ঘেরাও করে রাখতেন বেকাররা। শুধু তাই নয় চাকরির দাবিতে থাকা বেকার যুবক যুবতীদের বহুবার লাঠিপেটাও করেছে পুলিশ প্রশাসন। ফলে এক প্রকার বেকারদের আন্দোলনের চাপে পড়ে ৩৬৭৮ জন টেট পাস বেকারকে এক সাথে চাকরি দিয়েছিল সরকার। ২০২১ সালের টি-টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ৩৫ হাজার বেকার। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। অবাক করার বিষয় হলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত টি-টেট পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেল উল্টো চিত্র। ২০২৩ সালে যখন টেট ১, টেট – ২ পরীক্ষার ফলাফল নির্বাচনের পর প্রকাশিত হলো। তা দেখে বেকার বিক্ষোভ সহ নানা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ ২০২৩ সালে প্রকাশিত ফলাফলে টেট – ১ পরীক্ষায় মাত্র ১৯৫ জন এবং টেট – ২ পরীক্ষায় মাত্র ১৬৮ জন বেকার উত্তীর্ণ হলেন। আর টেট – ১ এবং টেট পরীক্ষায় প্রায় ৩৮ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে মাত্র ৩৬৪ জন বেকার টি-টেট পরীক্ষায় পাস করলেন। এমনকী এক বছর হতে চললেও তাদের নিয়োগ করেনি সরকার। এমনকী কেন মাত্র এক বছরের মধ্যে টি-টেট পরীক্ষায় পাসের হার নিম্নমুখী?এ প্রশ্নের উত্তর টিআরবিটি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে নেই। এমনকী বিগত পাঁচ বছর ধরে রাজ্যে বছরে দু’বার টেট পরীক্ষা পর্যন্ত হচ্ছে না। অথচ রাজ্যের টেট পরীক্ষা বছরে দুই বারের প্রথা ছিল। যা এখন নেই। ফলে বেকারদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর টেট – ১ শিক্ষক -শিক্ষিকা পদে প্রায় ৩২৩৪ টি এবং টেট – ২ শিক্ষক – শিক্ষিকা পদে প্রায় ২২২৮টি পদ বর্তমানে শূন্য রয়েছে। তবে নিয়োগ নেই। এদিকে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৩৬৪ জন বেকার অবিলম্বে একসাথে তাদের নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

7 hours ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

8 hours ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

9 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

10 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

10 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

11 hours ago