Categories: দেশ

জিএসটি কমিশনে অনেক প্রস্তাবই সিদ্ধান্তহীন রইল

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

পেন্সিল কাটার, শার্পনার, গুড় থেকে তৈরি তরল, প্রবেশিকা পরীক্ষার আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রদেয় ফি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত জিএসটি কমে যাচ্ছে অথবা মকুব করে দেওয়া হচ্ছে। জিএসটি কাউন্সিলের ৪৯তম বৈঠকে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ফি বাবদ যে টাকা নেওয়া হয়, এর উপর জিএসটি বলবৎ করার প্রস্তাব নিয়ে যে চাপানউতোর চলছিল, সেটি অবশেষে মকুবই করে দেওয়া হবে।অর্থাৎ সর্বভারতীয় অথবা রাজ্য স্তরের কোনও বোর্ড পরীক্ষার প্রবেশিকার ফি কমে যাবে। একইভাবে পেন্সিল কাটার মেশিন অর্থাৎ শার্পনার সাধারণ মানুষের ঘরের সন্তানরাই ব্যবহার করে। এই পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা ছিল। সেটি কমিয়ে ১২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর ও পশ্চিম ভারতে আখের রস ও গুড় দিয়ে তৈরি তরল যা বিভিন্ন পানীয় উৎপাদনে কাজে লাগে, এর জিএসটি কমানো হয়েছে।
তবে বজরা নিয়ে যে আলোচনা চলছিল এবং বাজেটেও ঘোষণা করা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে জিএসটি কমানোর প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হওয়ার কথা, সেটি শনিবার কার্যকর করা হয়নি।কারণ, শুধু এই দানাশস্য নয়, আরও কিছু শস্যকেও এই তালিকায় নিয়ে এসে একটি কোনও নির্দিষ্ট স্থির জিএসটি হার করা যায় কিনা সেটাই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। সেই কারণে এই দুই পণ্যের জিএসটি সংশোধন করার জন্য আবার ফিটমেন্ট কমিটির কাছেই পাঠানো হয়েছে। তারা নতুন করে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে এদিন বৈঠকের পর। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এই বৈঠকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, ১৬ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি জিএসটি ক্ষতিপূরণ সেস এবার রাজ্যগুলিকে মিটিয়ে দেওয়া হবে।আগামী মাসের মধ্যেই কোনও – জিএসটি ক্ষতিপূরণই আর বাকি থাকবে
না। তবে এক্ষেত্রে একটি শর্তও রয়েছে। অডিট ক্লিয়ারেন্স। এদিকে রাজ্যস্তরের অ্যাপেলাইট ট্রাইবুনাল গঠন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি শুধু নয়, সম্ভবত এ রকম কোনও রাজ্য ট্রাইবুনাল গঠন করা হবেও না। বেশকিছু রাজ্যের অর্থমন্ত্রী শনিবারের বৈঠকে এই ইস্যুতে দাবি করেছিলেন, কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনালের মতোই তৈরি করা হোক রাজ্য ট্রাইবুনাল। তাহলে আর কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনালের অধীনে যে রাজ্য শাখা থাকবে, তার উপর চাপ পড়বে না। পাশাপাশি বহু পণ্য ও পরিষেবার সঙ্গে রাজ্য সরাসরি প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। সেক্ষেত্রে, একটি করে রাজ্য ট্রাইবুনাল থাকলে জটিলতার দ্রুত সমাধান হওয়া সম্ভব। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এ রকম কোনও ট্রাইবুনাল চাইছে না। তাই কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনালের রাজ্য শাখাই এক্ষেত্রে যথেষ্ট হিসেবেই মনে করছে অর্থমন্ত্রক। এদিনের বৈঠকে সিমেন্টের জিএসটি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। জিএসটি কমানোর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়নি।

Dainik Digital

Share
Published by
Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

3 hours ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

4 hours ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

5 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

6 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

6 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

7 hours ago