জলের দরে বিকোচ্ছে সবজি, মাথায় হাত কৃষকের!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-শীতকালীন সবজির মতো দ্রুত দাম পড়ছে গ্রীষ্মকালীন সবজিরও।জলের দরে বিকোচ্ছে নতুন উঠে আসা শাক সবজি। এর ফলে মাথায় হাত কৃষকদের।
শান্তিরবাজার, বাইখোড়া,জোলাইবাড়ি সহ রাজ্যের সব জেলার প্রধান বাজারগুলিতে গ্রীষ্মের সবজির অঢেল জোগান। চাহিদার তুলনায় জোগান বেড়ে যাওয়ায় দামের তলানিতে এসে ঠেকেছে। চাষিদের আশঙ্কা গ্রীষ্মকালীন সবজির দামের আরও পতন হবে। এরফলে চাষিদের মধ্যে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।চাষাবাদ করে রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণত প্রতিবছর এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল থাকে। যা চাষিদের আয়ের সুযোগ এনে দেয়। কিন্তু এ বছর গ্রীষ্মের শুরুতে এমন মূল্যপতন অতীতের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে জানাচ্ছেন সবজি চাষিরা।
এ বছর শীতকালীন সবজির দামেও রেকর্ড পতন হয়েছে। সবজি বিক্রি করে কৃষকরা চাষাবাদের খরচই তুলতে পারেননি। টমেটোর এক্ষণে বাজারে ক্রেতা নেই। ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি শীতকালীন সবজি খেতে পড়ে আছে। যে সকল কৃষক দামের আশায় আগাম গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করেছেন তাদের তীব্র চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়েছে।
বাজারগুলিতে চারিদিক থেকে গাড়ি গাড়ি সবজি আসছে। দেশি শসা, ঝিঙা, ঢেড়স, বরবটি, উচ্ছে প্রভৃতি সর্বনিম্ন দামে বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে সর্বনিম্ন দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষক • গত বছরের আগষ্ট মাসে ভয়াবহ বন্যার পর একসাথে শীতকালীন সবজির চাষ শুরু করেন সমস্ত এলাকার চাষিরা। একযোগে সব ধরনের সবজি বাজারে উঠতে শুরু করলে দামের পতন ঘটে। জনসংখ্যার অনুপাতে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার ভারসাম্য হারায় বন্যায় একসাথে সব ফসল ও সবজি নষ্ট করে দেয় ঠিকই, পরিবর্তে পলি জমে জমিগুলি উর্বর হয়ে ওঠে। সেই সাথে পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গের মৃত্যুর ফলে ফসল ও সবজিতে কোনও ধরনের রোগাক্রমণ হয়নি। গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। শীতের সবজি শেষের পর চাষিরা আবার একযোগে গ্রীষ্মের সবজি চাষ শুরু করেন। কিন্তু সবজি ও ফসল চাষে বৈচিত্রতা রক্ষা করা হয়নি। এত পরিমাণ উৎপাদিত সবজি বাজার গ্রহণ করতে পারবে কিনা এ সম্পর্কে ধারণা ও প্রাক পরিকল্পনা না নিয়েই চাষাবাদ করার ফলে বারবার মার খাচ্ছেন চাষিরা। সবজি পচনশীল। সংরক্ষণ করে রাখা যায় এমন ফসল চাষ করা হলে একদিকে যেমন বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকত তেমনি অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলে লাভবান হতেন চাষিরা।এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

Dainik Digital

Recent Posts

পদ্মশ্রী প্রাপ্ত কৃষি বিজ্ঞান সুবান্না আয়াপ্পানের রহস্যমৃত্যু,!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত কৃষি বিজ্ঞানী ৬৯ বছর বয়সি সুবান্না আয়াপ্পান ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ…

5 hours ago

ব্যতিক্রমী সম্পর্কের খোঁজ!!

ছয় বৎসর পর পর ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে ছয় জড়াইয়াছে। একটি যুদ্ধ কিংবা যুদ্ধ তৎপরতায় ময়দানে…

6 hours ago

রেশনে ডালের দাম বাড়ল পাঁচ টাকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের রেশনশপে একলাফে মশুরি ডালের মূল্য প্রতিকিলোতে ৫ টাকা বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার।রেশনশপে…

6 hours ago

টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন কোহলি!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলো বিরাট কোহলি।ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখলো না।রোহিত…

7 hours ago

সমাজিকমাধ্যমে বিদেশসচিব মিস্রীকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ নেটিজেনরা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বিদেশসচিব বিক্রম মিস্ত্রি। রবিবার সকাল থেকে…

7 hours ago

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ফের উচ্চস্তরীয় বৈঠক!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-রবিবার সকালে উচ্চস্তরীয় বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এদিন তাঁর লোক কল্যাণ…

1 day ago