অনলাইন প্রতিনিধি – ছত্তীসগঢ়ের বস্তারে গত তিন দিনে মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের ধারা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার জগদলপুরে ২১০ জন মাওবাদী অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন। বুধবার থেকে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আত্মসমর্পণের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিন দিনে মোট প্রায় ৪৫০ জন মাওবাদী মূল স্রোতে ফিরেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বর্তমানে ভারতে মাত্র তিনটি জেলা—সুকমা, বিজাপুর ও নারায়ণপুর—‘মাওবাদী উপদ্রুত’ হিসেবে চিহ্নিত। এপ্রিল মাসে সংসদে বাজেট অধিবেশনকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছিলেন, ‘রেড করিডর’ বা মাওবাদী প্রভাবিত এলাকা ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে এবং আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে দেশকে সম্পূর্ণ মাওবাদীমুক্ত করার লক্ষ্য নির্ধারিত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারবার মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ১৯৭ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণের খবর তিনি নিজেই জানিয়েছেন। শাহ-এর বার্তা অনুযায়ী, যারা অস্ত্র ছাড়তে রাজি, তাদের স্বাগত জানানো হবে; আর যারা অস্ত্র রাখতে চায়, তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে। দক্ষিণ বস্তারে এখনও কিছু মাওবাদী ঘাঁটি অবশিষ্ট থাকায় সেগুলো শীঘ্রই ধ্বংস করার পরিকল্পনা রয়েছে। এই হুঁশিয়ারির মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ২১০ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রে ৬০ জন মাওবাদী গড়ছিরৌলিতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও বা কিষেণজির ভাই, মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও বা ভূপতি/সোনু, যিনি মাওবাদী সংগঠনে ‘তাত্ত্বিক মস্তিষ্ক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।এরপর থেকেই বস্তারে পরপর তিন দিনে আত্মসমর্পণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।