চেক জালিয়াতি ফের ৭ দিনের রিমাণ্ডে শ্রীময়ী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-আগরতলা পুর নিগমের জালিয়াতির মামলায় ইউকো ব্যাঙ্কের চেক ক্যাশিয়ার রামিয়ানি শ্রীময়ীকে আবারও পুলিশ রিমাণ্ডে পাঠাল আদালত। এই দফায় আদালত তাকে সাত দিনের জন্য পুলিশ রিমাণ্ডে পাঠিয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর আবারও তাকে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইকোনমিক অফেন্সেস শাখা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রামিয়ানিকে রিমান্ডে চেয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠকের নির্দেশে গঠিত স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম আগে তিন দিনের জন্য রিমান্ড চেয়েছিল ইউকো ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার তথা ইউডি ক্লার্ক রামিয়ানিকে তিনদিনের রিমান্ডের পর আর নতুন করে রিমান্ড চায়নি সিট। যে কারনে আদালত তাকে জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। বৃহস্পতিবার রামিয়ানিকে আবারও পশ্চিম জেলার সিজেএম সৈকত দাসের কোর্টে হাজির করা হয়। এপিপি ইনচাজ দিলীপ দেবনাথ আদালতকে জানান, মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ইকোনমিক শাখা। তিনি সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে চারটি কারণ উল্লেখ করেন। এই কারণগুলি হল- ১৬ কোটির চেক জালিয়াতির ঘটনায় রামিয়ানির সঙ্গে আর কে কে জড়িত? আগরতলা পুর নিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা উদ্ধার করা। জালিয়াতির গোটা চক্রকে চিহ্নিত করা এব অভিযুক্ত রামিয়ানি মোবাইলে কার কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন? পুলিশের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্রাইম ব্রাঞ্চ মামলার তদন্ত হাতে নিয়েছে পশ্চিম আগরতলা থানা থেকে। ক্রাইম ব্রাঞ্চের দাবি, অভিযুক্ত রামিয়ানি পুর নিগমের অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নম্বর অনুমতি ছাড়াই বদল করে নিয়েছিলেন। চেক জমা পড়ার দিনের মধ্যেই টাকা আরটিজিএস করে দেওয়া হয়েছে। অথচ চেক এক বা দুদিনের অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে রামিয়ানির জড়িত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এদিকে-জালিয়াতির ঘটনায় রামিয়ানির সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত বলে থানা পুলিশও প্রথম থেকে দাবি করে আসছে। রামিয়ানিও জিজ্ঞাসাবাদে ম্যানেজার, পুর নিগমের ক্যাশিয়ারের নাম বলেছেন। অথচ পুলিশ কাউকেই আটক করেনি। আবারও তাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আনুমতি নিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তবে রামিয়ানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আর কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় কিনা এর দিকে নজর রয়েছে রাজ্যবাসীর।

Dainik Digital: