রাজ্য সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তর এবং ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের অবহেলা, নজরদারিতা ও চরম উদাসীনতার কারণে রাজধানীর ভোলাগিরি মাঠটির বর্তমানে একেবারে বেহাল দশা। নিয়মিত পরিচর্যা ও সংস্কারের অভাবে মাঠটিতে আজ খেলাধুলার অবস্থা ও পরিবেশ নেই। মাঠের চারপাশে ঝোপঝাঁপ ও ঘন জঙ্গলে ঢেকে গেছে। এক ভয়াবহ পরিবেশের রূপ নিয়েছে মাঠটি। আর এরকম এক ভয়ের পরিবেশের মধ্যেই কোনওরকম ম্যানেজ করে ক্রীড়া দপ্তরের কাবাডি, ভলিবল ও হ্যাণ্ডবল তিন ইভেন্টের কোচিং সেন্টার চলছে। সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্রীড়া দপ্তরের শারীর শিক্ষক ও শিক্ষিকারা ছেলেমেয়েদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে কিছুদিন আবার ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্যদের ক্রিকেট কোচিং সেন্টার চলছিল এই মাঠেই। তবে মাঠের ভয়াবহ পরিস্থিতির কারণে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদ নাকি তাদের ক্রিকেট কোচিং সেন্টার এখান থেকে গুটিয়ে নিয়েছে। শহরের অনেকটাই প্রাণকেন্দ্রে ও এতো একটা দারুণ পরিবেশে বিশাল জায়গাজুড়ে ভোলাগিরি মাঠটি রয়েছে অথচ ক্রীড়া দপ্তর ও ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদ এই মাঠের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণে সম্পূর্ণ উদাসীন। দীর্ঘ সময় ধরে এই মাঠের নিয়মিত পরিচর্যা ও সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে ভোলাগিরি মাঠটির আজ বেহাল ও দুরবস্থা। খবর নিয়ে জানা গেছে, ক্রীড়া দপ্তরের অধীনে গোটা রাজ্যে যে দুই শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে এর মধ্যে আগরতলার ভোলাগিরি মাঠটিও রয়েছে। এখানে ক্রীড়া দপ্তরের কাবাডি, ভলিবল ও হ্যাণ্ডবল তিন ইভেন্টের কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। তিন ইভেন্টে প্রচুর সংখ্যক ছেলেমেয়ে এই কোচিং সেন্টারে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন। তা সত্ত্বেও এই মাঠটি নিয়ে ক্রীড়া দপ্তর বরাবরই উদাসীন ও অবহেলা করে আসছে। অনেকেরই বক্তব্য যে রাজধানীতে যদি এরকম অবস্থা হয় তাহলে গোটা রাজ্যে ক্রীড়া দপ্তরের পরিচালনাধীন বাকি কোচিং সেন্টারগুলোর কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমেয়। জানা গেছে, ভোলাগিরি মাঠটি নাকি বর্তমানে ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের অধীনে রয়েছে। তবে বিস্ময়কর ঘটনা হলো এই মাঠের রক্ষণাবেঙ্গণে কোনও রকম উদ্যোগ নিতে দেখা যায় না ক্রীড়া পর্ষদের তরফে। ক্রীড়া দপ্তর ও ত্রিপুরা ক্রীড়া পর্ষদের এ ধরনের ভূমিকায় প্রচণ্ড ক্ষোভে ফুঁসছে সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত শারীর শিক্ষক ও শিক্ষিকা থেকে শুরু করে এখানে প্রশিক্ষণরত খেলোয়াড় ও তাদের অভিভাবকরা। জানা গেছে, বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভোলাগিরি মাঠটিকে সাজিয়ে তোলার একটা উদ্যোগ নিয়েছিল। ভোলাগিরি মাঠটিতে এক অত্যাধুনিক ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা সম্পূর্ণ মাল্টি পারপাস মিনি স্টেডিয়াম করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সে মোতাবেক ক্রীড়া দপ্তর পরিকল্পনা নিয়ে তাদের কাজ করে যাচ্ছিল। তবে বর্তমানে এ নিয়ে সমস্ত উদ্যোগ থেমে গেছে। জানা গেছে, বিগত বাম সরকারের আমলে কাগজকলমে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এই ভোলাগিরি মাঠে। মাটি কেটে তা সমান করে মাঠরূপে গড়ে তোলার পর একদিকে গ্যালারি ও মাঠের মাঝামাঝি ড্রেন, একপাশে রিটার্নিং ওয়াল গড়ে তোলা হয়েছে। এতোটুকুই। এতে নাকি খরচ দুই কোটি টাকার মতো। যদিও এ বিষয়টি অনেকের কাছে হাস্যকর ঘটনা।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…