অনলাইন প্রতিনিধি :-মেঘে ‘বীজ’ বোনা হল, কিন্তু তাতেও নামল না বৃষ্টি! দিল্লির আকাশে কৃত্রিম বৃষ্টির আশায় কোটি কোটি টাকা খরচ হলেও ব্যর্থ হল রাজধানীর প্রশাসনের প্রচেষ্টা। ফলে দূষণে নাজেহাল দিল্লিবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে রাজধানীর আকাশ, রাস্তায় দেখা মিলছে ধোঁয়ার পর্দা। বাতাসে শ্বাস নেওয়াই কষ্টকর হয়ে উঠেছে বহু মানুষের কাছে।কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দিল্লির গড় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (AQI) ৩৫২-এ পৌঁছেছে — যা মঙ্গলবারের তুলনায় ৮০ পয়েন্ট বেশি। শহরের ৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে ৩২টিতেই বায়ুর মান ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে নেমে গিয়েছে। বিবেক বিহার (AQI ৪১৫) এবং আনন্দ বিহার (AQI ৪০৯)-এর মতো এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি ভয়ানক পর্যায়ে পৌঁছেছে। ওয়াজিরপুরের অবস্থাও ‘অত্যন্ত খারাপ’ (AQI ৩৯৪)।সিপিসিবি জানাচ্ছে, AQI যদি ০–৫০ হয়, তা হলে সেটি ‘ভাল’; ৫১–১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’; ১০১–২০০ ‘মাঝারি’; ২০১–৩০০ ‘খারাপ’; ৩০১–৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’; এবং ৪০১–৫০০ ‘ভয়ানক’।দূষণ কমাতে মঙ্গলবার দিল্লি সরকার যে ‘ক্লাউড সিডিং’-এর মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল, তা কার্যত ভেস্তে গিয়েছে। সেই দিন উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে একটি সেসনা ২০৬এইচ বিমান উড়ে এসে দিল্লির উত্তর-পশ্চিম অংশ — খেকরা, বুরারি, ময়ূরবিহার ও করোলবাগের আকাশে সিলভার আয়োডাইড ও ভোজ্য লবণ মিশ্রিত রাসায়নিক ছড়িয়ে দেয়। আশা ছিল, তাতে মেঘে আর্দ্রতা তৈরি হয়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৃষ্টি নামবে। কিন্তু কোনও ফল মেলেনি।
ফলে দিল্লির আকাশ যেমন শুকনো রয়ে গেল, তেমনি বায়ুমান আরও খারাপের দিকে। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও ফুসফুসজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা হ্রাস, বাতাসের গতি কমে যাওয়া এবং দূষণের ঘনত্ব বৃদ্ধি — সব মিলিয়ে দিল্লি ফের ঢুকে পড়েছে দূষণের ভয়াবহ চক্রে।