কোনও স্থানে দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না: মুখ্যমন্ত্রী!!

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বচ্ছতার সাথে কাজ করে যেতে বদ্ধপরিকর বর্তমান রাজ্য সরকার। মানুষের আস্থা অর্জনে এই ভাবধারা যে কোন মূল্যেই বজায় রাখা হবে।কোন জায়গায় দুর্নীতি করতে দেওয়া হবে না।সে যেই ব্যক্তিই হোক না কেন। বৃহস্পতিবার অরুন্ধতীনগরে পঞ্চায়েত রাজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের গ্রাম স্বরাজ ভবনে অনুষ্ঠিত ত্রিপুরা ন্যায্য মূল্যের দোকান পরিচালক সমিতির ২৬তম রাজ্য সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এই কথা বলেন।দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোশহীন মনোভাব ব্যক্ত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বচ্ছতার পথেই মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।যার জন্যই তিনি ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে আসছেন।তিনি যেই ভঙ্গিমায় দেশের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তার কোন বিকল্প বর্তমানে নেই।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য মোদিই প্রয়োজন। ৪০০টিরও বেশি আসন নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে বলা হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংখ্যা ৪০০ অতিক্রম করে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলাই মুশকিল!রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থায় ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় কথা মনে করিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন,গব্বন্টন ব্যবস্থার সাথে বহু মানুষের জীবনজীবিকা জড়িয়ে রয়েছে।রেশন ডিলারদের সঙ্গে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষের সংযোগ রয়েছে।এ অবস্থায় তদের কাজের উপর সরকারের সুনাম নির্ভর করে। সমাজের অন্তিম ব্যক্তির কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে ন্যায্যমূল্যের দোকানগুলি সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে। সম্মেলনের সূচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ন্যায্যমূল্যের দোকান পরিচালক সমিতি হচ্ছে সরকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মানুষ যাতে সহজেই রেশনশপের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন তারজন্য সরকার সবসময় সচেষ্ট। রাজ্য সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে — জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করা।এই লক্ষ্যে সরকার জনস্বার্থে নিরন্তর কাজ – করে যাচ্ছে।রেশন ডিলারদের দাবি পুরণে সরকার আন্তরিক বলেও তিনি এদিন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,রাজ্যে ২০৬০টি রেশন শপের মধ্যে মহিলা পরিচালিত রেশনশপ রয়েছে ২৮১টি।রাজ্যে ৩টি ট্রানজিট খাদ্য গোদাম রয়েছে।তাছাড়া ৭৬ হাজার ৩০০ মেট্রিকটন ক্ষমতা সম্পন্ন ৬২ টি বিভিন্ন স্থানে ১৩৭ টি – খাদ্য গোদাম রয়েছে। এফসিআই-এর ডিপো রয়েছে ৭টি স্থানে।এগুলির ক্ষমতা ৪৭ হাজার ২০০ মেট্রিকটন।গত ৫ বছরে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৭হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন ১১ টি খাদ্য গোদামে গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি গত ৫ বছরে রাজ্যে ২৫২টি ন্যায্যমূল্যের দোকান খোলা হয়েছে।৫ হাজার ৭০২ `টি ব্রু রিয়াং শরণার্থী পরিবারকে অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে।রাজ্যের খাদ্য গোদামে নিযুক্ত ২৬ জন মহিলা ক্লিনারের দৈনিক মজুরির পরিমাণ ১৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০৬ টাকা করার সিদান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,বর্তমান গণবন্টন ব্যবস্থায় ফর্টিফায়েড চাল, গম, আটা, আয়োডিন যুক্ত লবণ মসুর ডাল,চিনি, সরিষার তেল এবং কেরোসিন তেল দেওয়া হয়।তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যে বছরে দু’বার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে।এক দেশ এক রেশন কার্ড কর্মসূচির মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকরাও দেশের যেকোনও ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে তাদের প্রাপ্য রেশনসামগ্রী সংগ্রহ করতে পারছেন। বর্তমান জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতাধীন প্রায়োরিটি হাউজহোল্ড রেশন কার্ডধারী পরিবারগুলিকে প্রতিমাসে মাথাপিছু ৫ কেজি করে এবং অন্ত্যোদয় রেশন কার্ডধারী পরিবারগুলিকে প্রতি মাসে কার্ড পিছু ৩৫ কেজি করে চাল বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।অনুষ্ঠানে খাদ্য – জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন,রাজ্য – সরকার রেশন ডিলার বান্ধব একটি সরকার।রাজ্য সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্যে হচ্ছে জনগণের কাছে বিভিন্ন পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া।গণবণ্টন ব্যবস্থা হচ্ছে এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।এক্ষেত্রে রেশন ডিলারগণ প্রধান হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে চলেছেন। কোভিড অতিমারির সময়েও রেশন ডিলারগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছিলেন।সবকা সাথ, সবকা বিকাশ সফল করতে গেলে রেশন ডিলারদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে।খাদ্য মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করার উপর।বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী রেশনসপের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌছে দিতে সরকার সচেষ্ট।রাজ্য সরকার রেশন ডিলারদের দাবিদাওয়া পুরণের বিষয়েও আন্তরিক। বর্তমানে রাজ্যে গণবন্টন ব্যবস্থা অনেকটাই সুষ্ঠু ও শক্তিশালী হয়েছে। রেশনসপের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।এতে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে বলে খাদ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন।অনুষ্ঠানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।অনুষ্ঠানে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক মীনা রাণী সরকার, সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক শেখর আচার্য্য উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা ন্যায্যমূল্যের দোকান পরিচালক সমিতির আহ্বায়ক প্রদীপ চন্দ।

Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

9 mins ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

1 hour ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

2 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

3 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

3 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

4 hours ago