কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভোটের দাবি সিপিএমে।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)
FacebookFacebookTwitterTwitterRedditRedditLinkedinLinkedinPinterestPinterestMeWeMeWeMixMixWhatsappWhatsapp

অনলাইন প্রতিনিধি :- বক্সনগর ও ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানেই করার দাবি জানালো সিপিএম। উপভোটকে নিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের সাথে বিধানসভা নির্বাচনের মতো আসন সমঝোতা নিয়ে চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।তিপ্রা মথার সাথে আলোচনা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত কিছু হয়নি বলে সিপিএম সূত্রে খবর। কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে সিপিএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আলোচনা হয়েছে। এমনকী ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না বলেই এ পর্যন্ত খবর। যদিও এই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে সিপিএম রাজ্য দপ্তরে একটি বৈঠক করা হয়েছে।এ দিনের বৈঠকেও রাজ্য বাম নেতৃত্বের দাবি উপভোটের দিন এই দুই আসনের প্রতিটি বুথের ভেতরে ও বাইরে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে নির্বাচন কমিশন তরফে। বুধবার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক পুনিত আগরওয়ালের কাছেও একই দাবি করেছে সিপিএম।এদিকে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন চৌধুরীর দাবি, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপগুলি নিতে হবে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নির্বাচন এলাকার বাইরে থেকে ব্যাপক হারে দুষ্কৃতী অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে শাসকদল বিভিন্ন নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। রাজ্যে এর পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, নির্বাচন আধিকারিককে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে। বক্সনগর ও ধনপুর দুটি নির্বাচন ক্ষেত্রই বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন। তাই রাজ্যের ভেতরে যারা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে ব্যস্ত, তারা যাতে কোনও অবস্থাতেই সীমান্তের অপর পারের কোনও দুষ্কৃতীর দলকে এ কাজে ব্যবহার করতে না পারে এর জন্য নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত সিল করে রাখতে হবে। সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট সম্পন্ন করতে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে রাজ্যে। শুধু তাই নয়, ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচনি এলাকা রোড মার্চ করতে হবে যাতে ভোটারদের ভীতি দূর যায়। কারণ এই পরিবেশ নেই।প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রের ভেতরও বাইরে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভোট লুঠ এবং ভোটারদের বাধাদান বন্ধ করা যায়। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলের প্রচারের কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমোদন প্রদানের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করার তিনি দাবি জানান। কারণ শাসকদল আদর্শ আচরণবিধি মানতে নারাজ। শাসকের নির্বাচন চলাকালীন সরকারের সাফল্য প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন বন্ধ রাখতে হবে। তবেই অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

FacebookFacebookTwitterTwitterRedditRedditLinkedinLinkedinPinterestPinterestMeWeMeWeMixMixWhatsappWhatsapp
Dainik Digital

Recent Posts

গাজার ত্রাণকেন্দ্রে রক্তস্রোত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-খাবারের প্রলোভন দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের উপর। বাস্তুহীন ও ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের…

4 hours ago

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত লি জে-মিয়ং!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-দক্ষিণ কোরিয়ায় নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলেন বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী লি…

6 hours ago

পদত্যাগ করলেন মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে যেতেই মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী লুভাসান্নামস্রাইন ওয়ুন-এর্দেন পদত্যাগ করলেন। ওয়ুন-এর্দেন ও…

6 hours ago

অসুস্থ চিন্ময় কৃষ্ণের জামিন ফের নাকচ করলো আদালত!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-চট্টগ্রামে পাঁচটি মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনের আবেদন…

6 hours ago

৬জুন বিশ্বের উচ্চতম রেল ব্রিজের উদ্বোধন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-অবশেষে অপেক্ষার অবসান। দুই দশকেরও বেশি সময় পরে শুক্রবার উদ্বোধন হতে চলেছে বিশ্বের…

7 hours ago

বিশালগড়ে বিশালাকার!!

পুলিশি ব্যবস্থার কী হইয়াছে।বিশেষ করিয়া বিশালগড়।বিশালগড় পুলিশি যেন বিহার উত্তরপ্রদেশের কোনও ফিলমের পটভূমি। গত কয়েকদিন…

7 hours ago