অনলাইন প্রতিনিধি :-খাদ্যে স্বয়ম্ভর এবং কৃষকদের আত্মনির্ভরতার স্বার্থে রাজ্য সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর বিগত সরকারের চাইতে কয়েক শতগুণ বেশি পরিমাণে সঠিক পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করছে। কৃষক আত্মনির্ভর হলেই রাজ্য কৃষি ক্ষেত্রে স্বয়ম্ভর হবে খুব সহজে। আজ তুলাশিখর বাজারে প্রায় ছয় কোটি টাকা মূল্যের একটি দ্বিতল শেড ও মার্কেট স্টলের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এই মার্কেট স্টলটি আগামী এক বছরের মধ্যে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এই শেড ও মার্কেট স্টলটি তৈরি হলে এলাকার বহু কৃষক যেমন উপকৃত হবে ঠিক তেমনি এলাকার বেকাররাও ব্যবসা বাণিজ্য করার একটি সঠিক ঠিকানা পাবে। আজ দুপুরে এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বন দপ্তরের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা।অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিগত সরকারের নাম না নিয়ে তথ্য ভিত্তিক ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আগের সাত বছর যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের সাত বছর সময়কালের মধ্যে কৃষক স্বার্থে গোটা রাজ্যে মাত্র ৭১টি সাদামাটা মার্কেট স্টল করেছিল।তাতে এরা ব্যয় করেছে ২০ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা। আর বর্তমান সরকার গত সাত বছরে গোটা রাজ্যের জন্য ১৪৪টি আধুনিক বাজার শেড ও মার্কেট স্টল তৈরি করে দিয়েছে কৃষকদের কল্যাণে। আর তাতে ব্যয় হয়েছে ৩০৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা। বিগত সরকার সারা রাজ্যের জন্য যে ২০ কোটি টাকা খরচ করেছিল কৃষক স্বার্থে তার চাইতে বর্তমান সরকার শুধুমাত্র খোয়াই জেলাতেই ৩০ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা খরচ করেছে কৃষক স্বার্থে। এই তথ্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য কতটা আন্তরিক। কৃষিমন্ত্রী বলেন, কোন জমি খালি না রেখে তাতে যে কোনো ধরনের চাষবাস করার জন্য। এতে করে কৃষকরা আত্মনির্ভর হতে পারবে খুব সহজেই। কৃষকদের যে কোনো প্রয়োজনে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, বিগত ৩০ বছর ধরে যে সরকারটা চলছিল সেই সরকারের কৃষিমন্ত্রী ছিলেন এই বিধানসভার বিধায়ক। কিন্তু তিনি গোটা আশারামবাড়ি বিধানসভার কৃষকদের জন্য কিছুই করতে পারেননি। গত সাত বছরে রাজ্য সরকার কৃষক স্বার্থে কাজ করছে পরিকল্পনার ভিত্তিতে। তুলাশিখর বাজারে যে ৬ কোটি টাকার শেড ও মার্কেট স্টল তৈরি হচ্ছে সেই ধরনের মার্কেট স্টল তৈরি হবে বেহালাবাড়ি, বাচাইবাড়ি, চাম্পাহাওর এবং আশারামবাড়িতেও। মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা বলেন, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরে কত প্রকারের প্রকল্প রয়েছে সবগুলি প্রকল্প তিনি নিজেও জানেন না। তিনি কৃষি আধিকারিকদের অনুরোধ করেছেন গ্রামের মানুষদের সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ সুবিধাগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরার জন্য। তাতে প্রয়োজন অনুসারে এলাকার কৃষকরা উপকৃত হবেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও ছিলেন, কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণীভূষণ জমাতিয়া, খোয়াই জোনালের চেয়ারম্যান বিশু দেববর্মা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।