করুণ দশায় ৫৯ বছরের পুরানো স্কুল।

এই খবর শেয়ার করুন (Share this news)

দৈনিক সংবাদ অনলাইন প্রতিনিধি || নেই বাউণ্ডারি ওয়াল, নেই শৌচালয়। মান্ধাতা আমলে তৈরি বিদ্যালয়ের অবস্থা বেহাল ৷ পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার মধ্যে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মান্দাই ব্লকের নিত্যদাস পাড়া জেবি স্কুলটি। বিদ্যালয়েরবয়স ৫৯ বছর। মোট বিদ্যালয়ে বর্তমানে কুড়িজন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক সংখ্যা ৬ জন। প্রাচীন এই বিদ্যালয়টি পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার মধ্যে চলতে থাকলেও কুম্ভনিদ্রায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। মান্ধাতা আমলে তৈরি বিদ্যালয়ের বিল্ডিংয়ে যেমন ফাটল ধরেছে তেমনি টিনের ছাউনি ফুটো হয়ে রয়েছে। দরজা জানালা ভগ্ন অবস্থায়। ক্লাস রুমের টিনের ছাউনিতে অসংখ্য বিশাল বিশাল ফুটো। কিন্তু সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেই। বাউণ্ডারি ওয়াল না থাকায় স্কুলে মধ্যে চলে অসামাজিক কাজকর্ম। বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেল মাঠের যত্রতত্র পড়ে রয়েছে খালি মদের বোতল, সিগারেটের অংশ৷ অভিযোগ, বাউণ্ডারি ওয়াল না থাকায় স্কুল চলাকালীন সময়েও গরু, ছাগল, কুকুর প্রবেশ করে থাকে ক্লাস রুমে। মান্ধাতা আমলে তৈরি বিদ্যালয়ের ঘরের টিনে অসংখ্য বড় বড় ফুটো সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি এলে জল পড়ে ক্লাস রুমে। পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার মধ্যে বিদ্যালয়টি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে তেমন কোনও পদক্ষেপ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। বিদ্যালয়ে নেই ব্যবহারযোগ্য · শৌচাগার । ফলে ছাত্রছাত্রীদের খোলা স্থান বা কারোর বাড়িঘরে গিয়ে প্রাকৃতিক কার্য সারতে হয়। সামান্য বৃষ্টি এলে বিদ্যালয়ে আর ক্লাস করানো সম্ভব হয় না শিক্ষক
শিক্ষিকাদের। কারণ বিদ্যালয়ের ঘরের টিনের ছাউনি যেমন ফুটো তেমনি নেই অনেক জায়গায় তুলিও। নেই জলের বন্দোবস্ত।জানা গেছে, ২০১১-২০১২ অর্থবর্ষে ছাত্রীদের জন্য ১ লক্ষ ৭৬ হাজার একশ টাকা ব্যয়ে একটি শৌচালয় তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই শৌচাগারের দরজা সহ সমস্ত কিছু নিয়ে গেছে একটি দুষ্টচক্র।সরকারী অর্থে তৈরি শৌচালয়টি যেমন নষ্ট করেছে তেমনি বিদ্যালয়ের দরজা জানালাও ভেঙে ফেলেছে দুষ্টচক্রটি। বিদ্যালয়ে মোট ২০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ১০ জন ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু শৌচাগার না থাকায় তাদের প্রাকৃতিক কাজ সারতে মানুষের বাড়িঘরে ছুটতে হয়। জল, টয়লেট সহ পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার মধ্যে বিদ্যালয়টি চললেও কুম্ভনিদ্রায় আচ্ছন্ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। অভিভাবকদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বহুবার বলা সত্ত্বেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে পঠনপাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে ছাত্রছাত্রীদের। বৃষ্টি এলে ক্লাসরুমে জল পড়ে তাই বৃষ্টির সময় ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে পাঠায় না অভিভাবকরা। অন্যদিকে সরকারী অর্থে তৈরি শৌচালয়ের দরজা সহ জিনিসপত্র দুষ্কৃতীরা ভেঙে নিয়ে গেলেও এ নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেই। মান্দাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেল সরকারী সম্পত্তি যেখানে সেখানে শুধু ভাঙচুর করে রেখেছে একাংশ দুষ্কৃতী। সচেতন মহল বিদ্যালয়ের উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারী সম্পত্তি রক্ষায়ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলছে।

Dainik Digital

Recent Posts

ইন্ডিগো ফ্লাইটে বোমার হুমকি!! কলকাতা বিমানবন্দর হাই অ্যালার্ট!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…

7 hours ago

আওয়ামী লীগের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল নির্বাচন কমিশন!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…

8 hours ago

অবসর নিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…

10 hours ago

সিঁদুর’ প্রসঙ্গে বিজেপির ১০ দিনের ‘তিরঙ্গা যাত্রা’!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…

10 hours ago

পুরনো ছন্দে ফিরছে উপত্যকা!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…

11 hours ago

পঞ্জাবের বায়ুসেনাঘাঁটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…

12 hours ago