ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি আমাদের জীবনের অলঙ্কার : মুখ্যমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-সমাজ জীবনে ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি আমাদের অলঙ্কার।সংস্কৃতি ছাড়া আমরা বাঁচতে পারি না। আমাদের পূর্বপুরুষরা যে বেটন আমাদের হাতে তুলে দিয়েছেন সেগুলোকে বংশানুক্রমে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হলো এই হাটের মূল উদ্দেশ্য।

রবিবার খয়েরপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দেবরাম ঠাকুর পাড়ায় সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাটের উদ্বোধন করে একথাগুলো বলেন,মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডা. মানিক সাহা।তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে যুবসমাজ অন্যদিকে ধাবিত হচ্ছে।তাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া দরকার যে কী ছিল আমাদের সংস্কৃতি।তা ধরে রাখা তোমাদের দায়িত্ব এবং আগামী প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরা তোমাদের কাজ।মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গান,নৃত্য যেমন সংস্কৃতি তেমনি আচার ব্যবহার কথাবার্তাও সংস্কৃতি।পূর্বপুরুষরা যে বেটন আমাদের তুলে দিয়ে গেছেন তা যাতে লুপ্ত না হয় তার জন্য যুবকদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে। তিনি বলেন,যে উনিশটি জনজাতি গোষ্ঠীর কৃষ্টি সংস্কৃতি পরম্পরা ত্রিপুরাতে রয়েছে তাকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরানো হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলা যেমন গোল্লাছুট লুডু সহ বহু খেলা সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।

হারিয়ে যাওয়া এ সমস্ত খেলাধুলা গান বাজনাকে খুঁজে বের করে তা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সামনে তুলে
ধরার জন্য তিনি এগিয়ে আসার কথা বলেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। বিধায়ক শ্রীচক্রবর্তী বলেন, একটি সুস্থ সংস্কৃতি একটি সুস্থ সমাজের জন্ম দিতে পারে।আর একটা সুস্থ সমাজ একটি শক্তিশালী দেশ গড়ে।দেশ গড়ার কারিগর যাদের বানাবো তাদের সংস্কৃতিমনস্ক হতে হবে।লুপ্তপ্রায় খাদ্যাভ্যাস,হারিয়ে যাওয়া কীর্তন, নানা গান বাজনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন,রাজ্য সরকার নেশামুক্ত রাজ্য গঠনের ডাক দিয়েছে।কিন্তু শুধু পুলিশ দিয়ে তা সম্ভব নয়।খেলাধুলা এবং সংস্কৃতির দিকে যুবকদের আকর্ষণ বাড়িয়ে নেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। তিনি এই সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের এই প্রয়াসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পিকে চক্রবর্তী, বিশ্ব বাংলা সংস্কৃতি বলয়ের সম্পাদক কাজি মহম্মদ সুমন,সভাপতি সেবক ভট্টাচার্য, কালচারাল অ্যাডভাইজরি কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী সহ অন্যরা।

এই সাপ্তাহিক সংস্কৃতি হাট প্রতি রবিবার দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

Dainik Digital: