অনলাইন প্রতিনিধি :-রাজ্যের জনজাতি সমাজকে আর বোকা বানানো যাবে না। জনজাতিদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এভাবেই জাতীয় রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিলেন প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ। মথার যোগদান সভা করা হয় মনাই পাথরে, প্রধান বক্তা ছিলেন প্রদ্যোত।
এদিন, মির্জা-কাঁঠালিয়ার যোগদান মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রদ্যোত। বিভিন্ন দল থেকে ১ হাজার ৯৭৫ জন ভোটার মথায় শামিল হন।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি, অর্থের প্রলোভন- মন্ত্রিত্বের লোভদেখিয়ে একজনকেও মথায় আনা হচ্ছে না। যারা আসছেন নিজেদের ইচ্ছাতে মথায় শামিল হচ্ছেন।পাহাড়ের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাহাড়ে কোনও জাতীয় দলকে মানুষ ভোট দেবেন না।
প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের দাবি, ২০২৩ সালে তিপ্রা মথার জন্যেই শাসকদল ক্ষমতায় এসেছে।এখন একাংশ বিজেপি নেতা ক্ষমতার দম্ভে মথার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। অপেক্ষা করুন, আসন্ন
এডিসি-ভিলেজ ভোটে তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, মথা সুপ্রিমোর দাবি,পাহাড়ে কোনও জাতীয় দলের অস্তিত্ব থাকবে না।নয়াদিল্লীর কাছেও এই বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, জনজাতিদের অপমান করে এরপর পাঁচ টাকা হাতে ধরিয়ে দেবেন নোংরা রাজনীতি এখন বন্ধ করতে হবে। সব ধরা পড়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লীর ভয় দেখালে উল্টো আপনারা বিপদে পড়বেন। নয়াদিল্লীর কাছে রাজ্যের একাংশ শাসক দলের নেতাদের মিথ্যাচার ধরা পড়ে গিয়েছে।
তার দাবি, আগামী সাতদিনের মধ্যে ভিলেজ কাউন্সিল এবং ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদ (এডিসি)র নির্বাচন করা হোক। দেখবেন ফলাফলে আপনাদের ঢাকি সহ বিসর্জন হবে।এটাই বাস্তব।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে রাজ্যে এস আই আর, ডিলিমিটেশন হবে। এ লক্ষ্যে দলের নেতা মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়ে প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণের অভিযোগ, রাজ্যে পাহাড়ি বাঙালি ঐক্য সংহতি নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ধর্মের নামে যারা রাজনীতি করে তারা সাম্প্রদায়িক। সবকা সাথ সবকা বিকাশ রাজ্যে হাসির খোরাকে পরিণত করে দিয়েছেন। এখন এরাই আমাদের সাম্প্রদায়িক বানানোর চেষ্টা করছে। রাজ্যবাসীর কাছে ধরা পড়ে গিয়েছে।
তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য আমাদের লড়াই। রাজনীতি ভুলে সকলকে একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে পথে নামার আহ্বান জানান তিনি। হিন্দু-মুসলিম-পাহাড়ি-বাঙালি সহ রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতি ঐক্য রক্ষায় তার সাথে দলের নেতাকর্মী সমর্থকদের পথের নামার বার্তা দেন তিনি।