দ্বিতীয় মোদি জামানাতেই দেশে ‘ওয়ান ন্যাশন ওয়ান ইলেকশন’ নীতি কার্যকর করা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছিল।তৃতীয় জমানায় ফের একবার ‘ওয়ান ন্যাশন ওয়ান ইলেকশন’ নীতি কার্যকর করা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী মোদি চলতি মেয়াদেই দেশ জুড়ে কার্যকর করতে চলেছে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’।সরকার এই নীতি কার্যকর করতে দায়বদ্ধ ও অঙ্গীকারবদ্ধ বলে খবরে প্রকাশ।এক দেশ এক নির্বাচন’ ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বিজেপি অনেকদিন ধরেই আগ্রহী।চলতি বছরের ১৫ আগষ্ট লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ভাষণেও উঠে এসেছিল ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রসঙ্গ।তাঁর যুক্তি, ঘন ঘন নির্বাচন হওয়ায় দেশের উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।’এক দেশ এক নির্বাচন’ নীতি চালু করার পক্ষে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, গোটা দেশ এই ব্যবস্থাকে সমর্থন জানাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলিকেও এই ব্যবস্থাকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
যদিও বিজেপি বিরোধী দলগুলি শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছে ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ প্রক্রিয়ার। তাদের মতে,এই নীতি নিয়ে মোদি সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে।এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এবং সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধীদের অভিযোগ।বিশেষত,বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলির আশঙ্কা,’এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে লোকসভার ঢেউয়ে বিধানসভাগুলি ভেসে যাবে। বিরোধীদের আরও আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক ভোট’ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপি আগ্রাসী প্রচার এবং নির্বাচনি ব্যবস্থাপনার মুখে ভেঙে পড়বে।আরও স্পষ্ট করে বললে, বিজেপির অভিনব প্রচার ও ইলেকশন ম্যানেজমেন্টের সামনে মুখ থুবড়ে পড়বে।
আবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছে,এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হলে ভোট প্রক্রিয়ার জন্য যে বড় অঙ্কের খরচ হয়, তা অনেকটাই কমে যাবে। তাছাড়া ভোটের আদর্শ আচরণবিধির জন্য বারবার সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ থমকে থাকবে না।সরকারী কর্মচারীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি থেকে নানা ধরনের প্র কাজের চাপ কমবে।এক দেশ এক ভোট’ নীতি কতটা বাস্তব সম্মত, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ- কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিও গঠন করেছিল।খবরে প্রকাশ, সেই কমিটি গত মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট প্রদান করেছে।জানা গেছে, কোবিন্দের নেতৃত্বাধীন কমিটিও ‘এক দেশ এক ভোট’ প্রক্রিয়ায় পক্ষেই মত দিয়েছে।কমিটি তাঁদের প্রথম সুপারিশেই দেশের লোকসভা ও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একসাথে করার কথা বলেছে।লোকসভা ও বিধানসভাগুলির নির্বাচন মিটে যাওয়ার একশ দিনের মধ্যে পুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বলেছে।খবরে প্রকাশ, শীঘ্রই আইন কমিশনও এই সংক্রান্ত সুপারিশ করবে। ধারনা করা হচ্ছে, আইন কমিশন ২০২৯ সাল থেকে লোকসভা বিধানসভা, পঞ্চায়েত, পুরসভা নির্বাচন একই সঙ্গে হওয়ার সুপারিশ করতে চলেছে। শেষ পর্যন্ত কি হয়? সেই দিকেই নজর থাকবে দেশবাসীর।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…