অনলাইন প্রতিনিধি :- এতোদিন উৎসবের মেজাজে ভোটের কথা শুধু শোনা গেছে। ধনপুর, বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপভোটে তা প্রকৃত অর্থে প্রত্যক্ষ করা গেছে।২৩- এর রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন যেভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভঙ্গিমায় সম্পন্ন হয়েছে,একই রকমের নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন হয়েছে উপভোটে।গণতন্ত্রের মাধ্যমে কীভাবে নির্বাচন করতে হয় তা এবার করে দেখালো দুই বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ।শুক্রবার বিজেপি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলনে এমনই বললেন মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা। উপনির্বাচনে শাসক দলের দুই প্রার্থীর বিপুল জয়ের প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের ইস্যুতেই তারা নির্বাচনে লড়াই করেন। উপভোটেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ধনপুর ও বক্সনগর বিধানসভার ভোটারদের সামনে উন্নয়নের ইস্যু রেখে ভোটে গেছে পদ্মশিবির। ভোটাররা বিজেপির প্রতি আস্থা রেখে তাদের প্রার্থীদের দুহাত ভরে ভোট দিয়েছেন। যার প্রেক্ষিতেই উভয় বিধানসভায় বিজেপি প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয় পেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এ জয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ প্রদেশ বিজেপি সভাপতিসহ রাজ্যের নেতাকর্মীদের প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানান। তিনি দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটারদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু অংশের মানুষ তাদের বিপুলভাবে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, উন্নয়নের জন্যই তারা বিজেপি প্রার্থীদের জয়যুক্ত করেছেন। এতোদিনের বিভেদকামী রাজনীতি এবং অনুন্নয়নের পরিবেশ থেকেও তারা বেরিয়ে আসতে চেয়েছেন। বক্সনগর বিধানসভা কেন্দ্রে রেকর্ড ভোটের ব্যবধানে জয়ের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বামেদের কর্মকাণ্ডে তাদের নেতা মন্ত্রীদের পরিবার-পরিজনরাও বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছেন। অনেকে বিজেপিতে চলে এসেছেন। প্রাক্তন মন্ত্রী বিল্লাল মিয়াও পদ্ম শিবিরে চলে এসেছেন। ফলে ওই বিধানসভায় বিরোধীদের অস্তিত্ব বলতে কিছুই ছিল না। ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। যার প্রেক্ষিতে তারা গতানুগতিকভাবে এমনটাই বলে থাকেন। ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সবাই বিভক্ত। উপভোটের সময়ও তা ধরা পড়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও তার প্রতিফলন দেখা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধর্ম বিচার করে উন্নয়ন হয় না। উপভোটের প্রচারে তা ভোটারদের বোঝাতে পেরেছে বিজেপি। এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। বিপুল এই জয়ের জন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহাকে কৃতিত্ব দেন। দলের নেতা মন্ত্রীসহ সর্বস্তরের কার্যকর্তাদের প্রচেষ্টাকেও কুর্নিশ জানান। শ্রী ভট্টাচার্য বলেন, কমিউনিস্ট মুক্ত রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে উপভোটে ইতিহাস তৈরি হয়েছে। কমিউনিস্টরা বিলুপ্ত হতে চলেছে। এদিন এই বিপুল জয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যকে দলের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন ধনপুরের বিজয়ী প্রার্থী বিন্দু দেবনাথ, বক্সনগরের বিজয়ী প্রার্থী তফাজ্জল হোসেন, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মণ এবং বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। এদিন রাজধানীতে বিজয় মিছিলও বের করে বিজেপি। তাতে মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি, বিজয়ী প্রার্থী সহ শাসকদলীয় কর্মী সমর্থকরা অংশ নেন। শাসক দলের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক তাতে যোগ দেন।