অনলাইন প্রতিনিধি :-আগে চাকরিপ্রাপকদের বাড়িতে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে অফার লেটার যেতো।এখন অনুষ্ঠান আয়োজন করে মন্ত্রীরা চাকরি প্রাপকদের হাতে হাতে চাকরির অফার প্রদান করছেন।এটা তো চাকরিপ্রাপকদের অপমান করা।কেননা,তারা পরীক্ষা দিয়ে মেধার ভিত্তিতে পরিশ্রম করে চাকরি পেয়েছে।কারও দয়ায় চাকরি পায়নি।তারা কেন মন্ত্রীদের হাত থেকে চাকরির অফার নেবেন?আর যদি এটা চালু রাখতেই হয়, তাহলে ভবিষ্যতে চাকরির অফার দেওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ জন বিধায়কের এলাকায় যারা চাকরি পাবেন, ওই এলাকার বিধায়কদের যেন এই সুযোগ দেওয়া হয়। বুধবার বিধানসভায় এই দাবি জানান বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা।বিরোধী নেতার এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং মন্ত্রীদের অনুষ্ঠানে অফার প্রদান নিয়ে বিরোধী নেতার বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের একটি বক্তব্যে সভায় হট্টগাল বাধে।অধ্যক্ষ বলেন, পার্টি অফিসে তো দেওয়া হয়নি?’ অধ্যক্ষের এই উক্তি শুনেই একেবারে লাফিয়ে উঠেন সিপিএম পরিষদীয় নেতা জিতেন চৌধুরী সহ অন্য বাম বিধায়করা।শুরু হয় হট্টগোল।জিতেনবাবু অধ্যক্ষকে উদ্দেশ করে বলেন, কাদের পার্টি অফিসে এমন হয়েছে সেটা আপনাকে জানাতে হবে।অধ্যক্ষ বলেন, আমি তো কারও নাম বলিনি। এটা তো দেখছি ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাই না’ অবস্থার মতো। জিতেনবাবু আজকাল বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন।কিছু বললেই ক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবারও দেখলাম আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন।এই বয়সে এতো উত্তেজনা শরীরের জন্য ভালো নয় জিতেনবাবু।এতে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে।এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিতর্ক চলে। হট্টগোলের মধ্যেই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী দাঁড়িয়ে বলেন, এমন কোনও নিয়ম নেই যে অনুষ্ঠান করে চাকরিপ্রাপকদের হাতে হাতে অফার প্রদান করা যাবে না। বহু রাজ্যে এই ধরনের পদ্ধতি রয়েছে।অনেকে বলছেন, এইভাবে অফার প্রদান করে সরকার নিজেদের প্রচার করছে।আমরা তো পাবলিসিটি নেবোই।কেননা জেআরবিটির মাধ্যমে আমাদের সরকার চাকরি প্রদান করছে।দেখতে হবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও দুর্নীতি আছে কিনা?যদি থাকে তাহলে প্রমাণ করে দেখান।অযথা অফার প্রদান নিয়ে পড়েছেন।আসলে আপনাদের সহ্য হচ্ছে না। এরমধ্যে মন্ত্রী রতনলাল নাথ বিরোধী নেতা অনিমেষ দেববর্মাকে উদ্দেশ করে বলেন,আগে তো কোনওদিন ককবরক অধ্যাপক নিয়োগ হয়নি।এখন হয়েছে।এরপর মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে বলেন, আগে তো অনেক কিছুই হয়নি।এখন হচ্ছে।আগে হয়নি বলে এখন করা যাবে না,এর কোনও মানে নেই। এরপর সভা শান্ত হয়।এদিন বিধানসভায় বিরোধী নেতা শ্রী দেববর্মা একটি প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন।প্রশ্নটি ছিল, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০২৩ সালের ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত কতজন স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর বেকারকে শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে অফার দেওয়া হয়েছে।মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিয়ে জানান, স্নাতক ১৫৮ জন এবং স্নাতকোত্তর ৩১২ জনকে অফার দেওয়া হয়েছে।উক্ত প্রশ্নে অতিরিক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করে আলোচনাকালে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অফার বিলি নিয়ে তার আপত্তির বিষয়টি উত্থাপন করেন।
অনলাইন প্রতিনিধি :-মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা…
অনলাইন প্রতিনিধি :-গেজেট নোটিফিকেশন দিয়ে আওয়ামী লীগের সবরকম কার্যকলাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসন…
অনলাইন প্রতিনিধি :-সুপ্রিম কোর্টের ব্যাটন তুলে দিয়ে গেলেন বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের হাতে। বুধবার ১৪…
অনলাইন প্রতিনিধি :-‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে প্রচারে নামতে চলেছে বিজেপি।পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ায় ভারতীয় সেনা বাহিনীকে ধন্যবাদ…
অনলাইন প্রতিনিধি :-স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে শ্রীনগর। শ্রীনগর বিমানবন্দরও মঙ্গলবার খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। রাস্তা ঘাটে স্বাভাবিক…
অনলাইন প্রতিনিধি :-ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমনের পর মঙ্গলবার…