আট জাতের নতুন অড়হর বীজে,ডাল উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করবে রাজ্যকে : কৃষিমন্ত্রী!!

অনলাইন প্রতিনিধি :-লেম্বুছড়াস্থিত কৃষি কলেজের গবেষকদের গবেষণায় নতুন আট জাতের অড়হর ডালের বীজ তৈরি করেছে। যা আগামীদিনে কৃষিক্ষেত্রে রাজ্য ডালে স্বয়ম্ভর হওয়ার পথ দেখতে পারে। এই অড়হর ডালের বীজ কৃষকদের মধ্যে শীঘ্রই বিতরণ করার উদ্যোগ নেবে সরকার। বুধবার কৃষি কলেজের গবেষকদের নতুন প্রযুক্তির চাষ জমি পরিদর্শন করে এই অভিমত ব্যক্ত করলেন কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ।
দশ বছর ধরে এই নতুন আট জাতের অড়হর ডালের বীজ তৈরির গবেষণার ক্ষেত্রে রাজ্যের কৃষি কলেজের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর এবং সায়েন্টিস্ট পার্থ দাসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তার সাথে সহকারী বিজ্ঞানী হিসাবে ড. বিমান দে, ড. ডিপি আগস্থি এবং ড. বিসি থানজামের প্রশংসা করেন।
কলেজের প্রিন্সিপাল দেবাশিস সেন এবং গবেষণার কাজে নিযুক্ত বিজ্ঞানীরা কৃষিমন্ত্রীকে ওই আট জাতের অড়হর ডালের চাষ জমি পরিদর্শন করিয়ে জানান, আগামীদিনে এই জলবায়ুর মাটিতে প্রতি হেক্টরে ২০০০ কেজি উৎপাদন হতে পারে।কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন। ডাল ও পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বনির্ভরতার পথে ত্রিপুরা। ২০১৮ সালের আগে প্রতি হেক্টরে অড়হর ডালের ফলন ছিল ৭৫০ কেজি। ২০১৮ সালে বেড়ে হয়েছে ৮২৩ কেজি। এই নতুন জাতের বীজ আগামীদিনে ডাল উৎপাদনে স্বয়ম্ভর করবে রাজ্যকে। এক সময় মানুষ বলতো রাজ্যে পেঁয়াজ চাষ সম্ভব নয়। কৃষি কলেজ প্রমাণ করে দিলো রাজ্যের মাটিতেও লাল এবং সাদা পেঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। ২০১৭-১৮ সালে পেঁয়াজের চাষ হতো ১৬৩ হেক্টর জমিতে। ২০২৫-২৬ সালে তা বেড়ে ২২৫ হেক্টর জমিতে হচ্ছে। দেশে নয়টি এরকম গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। তার মধ্যে ত্রিপুরা কৃষি কলেজ একটি। এই বীজগুলি কৃষকদের হাতে গেলে ডাল উৎপাদনে উৎসাহ পাবে।কৃষি কলেজে অর্কিড ফুলের চাষ দেখে কৃষি কলেজে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, ওই কাজে রাজ্য সরকারের তরফে টিস্যু কালচার ল্যাব স্থাপন করে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে। এআরসি আলু চাষের পর পেঁয়াজ চাষেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ দিন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ২০১১ সাল থেকে পিজি কোর্স চালু করেছে।প্রতি বছর এই কোর্সে ষাটজন ভর্তি হচ্ছে। পিজি কোর্স তিনটি ডিপার্টমেন্ট নিয়ে চালু হয়েছে।

Dainik Digital: