অনলাইন প্রতিনিধি :-নয় উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজয় দিয়েই জাতীয় অনূর্ধ্ব ১৯ মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেটে ত্রিপুরার অভিযান শুরু হলো। রবিবার নাগপুরের সিভিল লাইন বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোর স্টেডিয়ামে হিমাচল প্রদেশের কাছে ব্যাট বলের বিশ্রী পারফরম্যান্স করেই ম্যাচ হারল রাজ্য জুনিয়র মহিলা দল। সিনিয়র মহিলাদের দেখানো পথেই যেন নিজেদের অভিযান শুরু করল জুনিয়র মহিলা দল। কর্ণাটক, মুম্বাই, বাংলা, আসাম ম্যাচের আগে এদিন হিমাচলপ্রদেশ ম্যাচে হারাটা দলের জন্য কতটা ক্ষতি হলো বিশেষ করে মনোবলের দিকে তা পরের ম্যাচেই পরিষ্কার হবে। তবে টি-২০ ক্রিকেটে রাজ্য জুনিয়র মহিলা ক্রিকেট দল যে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তা এবার প্রথম ম্যাচেই বোঝা গেল। ১২০ বলের ম্যাচ ৭১ রান নেহাতই কম। ১৫০-১৭০ রান করলেও ম্যাচে সেভ নয়। এই জায়গায় মাত্র ৭১ রান। হিমাচল প্রদেশের মেয়েরা মাত্র ৯.২ ওভার খরচ করে এক উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতেই মাঠ ছাড়ে তবে প্রথম ম্যাচেই যে রকম ব্যাটিং বোলিং করল নারায়ণ দেবের মেয়েরা তাতে পরের ম্যাচে ওরা কতটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারবে তা আগামীতেই বোঝা যাবে।তবে দিল্লীতে পাঁচটি প্রস্তুতি ম্যাচের পরাজয় মেয়েদের মনোবল ভেঙে দিয়েছিল। তা এদিন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই পরিষ্কার হয়ে গেল। তবে টিসিএর অতি ক্রিকেট বিপ্লবের জন্য এ বছর জাতীয় ক্রিকেটে যে ত্রিপুরার ভরাডুবি চলছে তা থেকে জুনিয়র মহিলারাও বাদ গেল না। এদিন টস জিতে হিমাচল প্রদেশ ত্রিপুরাকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠায়। অস্মিতা দেবনাথ (১৯) ও অনুষ্কা শীল (১২) পর্যন্ত ঠিক ছিল। কিন্তু এরা সাজঘরে ফিরতেই কার আগে কে ফিরবে তা নিয়ে রীতিমতো যেন লড়াই শুরু হয়ে যায়। তারপরও অনুষ্কার দৃঢ়তায় স্কোর ১৯.৪ ওভারে ৭০/৫ উঠে। তবে অতি মাত্রায় স্লো ব্যাটিং ও ডট বল খেলার প্রবণতায় ক্রিজে আটকে যায় ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত কুড়ি ওভারে ছয় উইকেটে ৭১ রানে থামে ত্রিপুরার লড়াই। পল্লবী ঠাকুর (৩-০-৬-৩) দুর্দন্তত বোলিং করে। ম্যাচ জেতার জন্য দরকার ১২০ বলে ৭২ রান। হিমাচল প্রদেশের দুই ওপেনার অহনা শর্মা, কানু প্রিয়া (৫) জুটি শুরুতে ভাঙলে অহনা ও ধন্যালক্ষ্মী জুটি পেছনে ফিরে তাকায়ননি। অহনা (৪৪),ধন্যা (২১) অবিচ্ছিন্ন থেকে দলকে নয় উইকেটের জয় এনে দেয়। সুস্মিতা তেলি একমাত্র উইকেটটি পায়।